সংবাদ দাতা , রাজবাঁধ – পাপু লোহার
তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতির নির্দেশে কাজ হারানোর অভিযোগ খোদ তৃণমূল কর্মীদের। দলের শ্রমিক সংগঠনের ঝান্ডা হাতে নিয়ে আন্দোলোন সামিল কাজ হারানো তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা দাবি শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতির। দুর্গাপুরের কাঁকসার এই ঘটনায় t রাষ্ট্রয়ত্ব তেল সংস্থার বটলিং প্লান্টের কাজ হারানো অস্থায়ী কর্মীরা লাগাতার আন্দোলনের হুশিয়ারী দিলেন। অভিযোগ,তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতির নির্দেশ আর যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়লেন খোদ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের প্রায় ৩২ জন কর্মী। দুর্গাপুরের কাঁকসার একটি রাষ্ট্রয়ত্ত তেল সংস্থার বটলিং প্লান্টের এই ঘটনায় এখন বিড়ম্বনা শাসক শিবিরে। অভিযোগের তির তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কাঁকসা ব্লক সভাপতি চন্দন রায়ের বিরুদ্ধে।ঘটনার সূত্রপাত আজ সকালে। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের এই ৩২ জন কর্মী আজকে প্লান্টে গিয়ে জানতে পারেন ঠিকাদার আর তাদেরকে কাজ করতে হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন, এরপরই রিলিভার হিসেবে কাজ করা এই ৩২ জন অস্থায়ী কর্মী তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ঝান্ডা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন, পুনর্বহাল না হলে তারা আন্দোলন জারি রাখবেন বলে হুশিয়ারীও দিয়ে রাখেন,

আগামীকাল একই সিদ্ধান্তে যদি অনড় থাকে ঠিকাদার তাহলে আরো বড় আন্দোলনে সামিল হবেন তারা এমন হুশিয়ারীও দিয়ে রাখেন এই ৩২ জন অস্থায়ী তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মী, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের দ্বারস্থ তারা হবেন বলে জানিয়েও দেন। অন্যদিকে ঠিকাদার বলেন, তিনি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কাঁকসা ব্লক সভাপতি চন্দন রায়ের নির্দেশ মেনেই এই কর্মীদের বসিয়ে দিয়েছি। যদিও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কাঁকসা ব্লক সভাপতি চন্দন রায়, ঠিকাদার মিথ্যে কথা বলছেন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিষয়টি, অন্যদিকে এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ৩২ জন কর্মীর কাজ গেলো বলে দাবি করেন। এতদিন বিরোধীরা শাসকের চোখ রাঙানিতে কাজ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করতেন, আজ খোদ শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের নির্দেশে খোদ দলের কর্মীদের কাজ চলে যাওয়ার অভিযোগকে ঘিরে ব্যাপক বিড়ম্বনাতে শাসক শিবির, আর শাসক দলের কর্মী হয়ে তাদের কাজ চলে যাওয়া আর কাজ ফিরে পাওয়ার দাবিতে দলীয় ঝান্ডা নিয়ে আন্দোলোনে সামিল হওয়াটা খুব লজ্জার বলে দাবি করেন কাজ হারানো তৃণমূল কর্মীরা।*