পাপু লোহার , কাঁকসা :- জমিদাতারা কাজের দাবিতে পাশাপাশি পরিবেশের দূষণ থেকে বাঁচতে সোমবার সকাল থেকে কাঁকসার বাঁশকোপার একটি বেসরকারি কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান কাঁকসার বাঁশকোপা গ্রামের মানুষ। প্রসঙ্গত, আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে বাঁশকোপা গ্রামের মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে একটি বেসরকারি কারখানা কে জমি দিয়েছিল যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চাকরি পায় অথচ আজও অবধি সেই সমস্ত পরিবার গুলির কোন সদস্যই চাকরি পায়নি। এ নিয়ে বারে বারে বিক্ষোভ দেখিয়েছে গ্রামের সাধারণ মানুষ কারখানা কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত করেননি এ বিষয়ে। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় ঝান্ডা ও মমতা বন্দোপাধ্যায় পোস্টার নিয়ে করতে দেখা গেল কারখানার গেটের সামনে। বিক্ষোভের জেরে কারখানার গেটের সামনে যাতে কোনো রকম অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে তাই কারখানার গেটের সামনে মোতায়েন রয়েছে কাঁকসা থানার পুলিশ।বহু বেকার যুবক কাজ পাওয়ার আশায় কারখানা গড়ার জন্য জমি দিয়েছিলেন কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বহিরাগতদের কাজের নিলেও স্থানীয়দের কাজ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে বলে অভিযোগ। ভিন রাজ্য ভিন জেলা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে এসে ১২ ঘন্টা কাজ করাচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ আর স্থানীয় জমিদাতা পরিবারের ছেলেরা বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আয় কমেছে পরিবার গুলির । কোনরকমে দিন কাটাচ্ছে জমিদাতা পরিবারেরা পাশাপাশি গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ কারখানার দূষিত ছাই গোটা গ্রামে ছড়িয়ে গিয়ে গ্রামের আট থেকে আশি অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছে। গ্রামের অধিকাংশ জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেছে বিঘের পর বিঘে জমি খালি পড়ে আছে চাষিদের মাথায় হাত। গত এক বছর আগে তারা এই বিষয়ে আন্দোলন করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ দূষণ বন্ধ করার জন্য গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছিল। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পরে ফের দূষণের মাত্রা ফের বেড়ে যায় যার ফলে সমস্যায় পড়েন গ্রামের মানুষ। দলের নেতাদের বলা হলেও তারাও দেখছি দেখছি বলে পার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই যতদিন না তারা কাজ পাচ্ছে, যতক্ষন না তাদের দাবি পূরণ হবে ততক্ষণ তাদের আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

প্রশ্ন হচ্ছে যে রাজ্যের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের কর্মসংস্থান বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের পরিযায়ী শ্রমিক হতে হয় না অথচ সেই রাজ্যেরই বাঁশকোপা শিল্প তালুকের ভিন্ন চিত্র গ্রামের মানুষ বলছেন যদি কাজ না পাওয়া যায় তাহলে আগামী দিনে তাদেরকেও পরিযায়ী শ্রমিক হতে হবে। যদিও এদিন প্রশাসনের আশ্বাসে তারা খুব তুলে নেয় প্রশাসন দুদিনের সময় দিয়েছে যদি এই দুদিনের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোন সুরাহা না করে তাহলে আবারও বিক্ষোভে বসবে জমি দাতা পরিবারসহ বেকার যুবকেরা।