কাঁকসা , :- রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য জুড়ে বড়সর রদবদল করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় বছর খানেক ধরে এই রদবদলের জল্পনা তুঙ্গে ছিলো কিন্তু বারবার বিভিন্ন কারনে তা আটকে যায় । শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃনমূল জেলা সভাপতি হলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী যদিও তিনি এর আগেও এই পদেই ছিলেন । তাই আবার ও ছাব্বিশের নির্বাচনের তার উপর ভরসা রাখতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।শুক্রবার নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী র নাম ঘোষণা হতেই আনন্দে উচ্ছাসে ফেটে পড়লো পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা সেই মতো কাঁকসার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বাজি ফাটিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। শুক্রবার মধ্যরাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তথা পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাঁকসা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সাথে দেখা করে গেলেন এবং সামনের ২৬ শে নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস দল তাকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে সেই কথা সকলের কাছে শুনিয়ে গেলেন এবং সকলকে ২৬শে নির্বাচনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে বললেন শুধু সমাজ মাধ্যমে প্রচার করলেই চলবে না ছাব্বিশে নির্বাচনের জন্য কাঁকসার প্রতিটি কর্মীকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে নামতে হবে বলে জানিয়ে গেলেন। এছাড়া তিনি আরো বলে যান ২৬ শে নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার নয়ে নটি আসন জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন মধ্যরাতে কাঁকসা ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পিরু আলম খান ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা জানা। এর পাশাপাশি সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। আমরা আমাদের দেশের অতন্দ্র প্রহর তৃণমূল নেতা পিরু আলম খান বলেন জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এর আগেও এই জেলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেই দায়িত্ব পালিয়ে বিগত দিনের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটে তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তাই তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারো একবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সভাপতি হিসেবে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দিলেন সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর কাঁকসা তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা খুশি। জেলা সভাপতি এদিন কাঁকসার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বড় দায়িত্ব দিয়ে গেলেন ২৬ এর নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সমাজ মাধ্যম ছেড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত আর শক্ত করতে হবে।
