জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, _সালানপুর, পশ্চিম বর্ধমান:- অবশেষে মানুষের ভরসাস্থল পোস্ট অফিসের প্রতারণার শিকার হলো শতাধিক গ্রাহক। ঘটনাটি আসানসোলের সালানপুর ও হিন্দুস্তান কেবেলসের দুই পোস্ট অফিসের। জানা যাচ্ছে নিজেদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকজন গ্রাহক ঐ দুই পোস্ট অফিসে নিজ নিজ নামে অ্যাকাউন্ট খোলে। সেখানে তারা নিজেদের কর্ম জীবনের অর্থ সঞ্চয় করে রাখে এবং নিয়মিত লেনদেন করত। পোস্ট মাস্টার টাকা জমা নিত এবং পোস্ট অফিসের স্ট্যাম্প সহ পাস বই আপডেট করেও দিত। কোনো সমস্যা ছিলনা। কিন্তু জনৈক গ্রাহক টাকা তুলতে গিয়ে দেখে তার পাসবইয়ে টাকা জমা থাকলেও পোস্ট অফিসের খাতায় কোনো টাকা জমা পড়েনি। ওই পাসবই ও স্ট্যাম্প জাল। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই অন্যান্য গ্রাহকরা পোস্ট অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ জানাতে থাকে। গ্রাহকরা বুঝতে পারে পোস্ট অফিসের মত কেন্দ্রীয় সংস্থায় টাকা রেখে প্রতারিত হয়েছেন। তাদের দাবি দোষীকে কঠোর শাস্তি হবে এবং অবিলম্বে তাদের জমানো টাকা ফেরত দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকরা সালানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়। গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সালানপুর থানার পুলিশ পোস্ট মাস্টার কৃষ্ণ প্রসাদ শর্মা ওরফে কৃষ্ণ দাস ঠাকুরকে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ধৃতের কাছ থেকে জাল স্ট্যাম্প, জাল পাসবুক সহ বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে।

প্রতারিত জনৈক গ্রাহক বলেন – আমরা সাধারণ মানুষ। নিরাপদ মনে করে পোস্ট অফিসে টাকা জমা রাখি। অফিসে নিজের চেয়ারে বসে পোস্ট মাস্টার টাকা জমা নিয়েছেন এবং অফিসের স্ট্যাম্প দিয়ে পাসবই ফেরত দিয়েছেন। ভিতরে কি ঘটনা ঘটছে সেটা আমাদের জানার বিষয় নয়। কিন্তু সেখানেও যে প্রতারণার ঘটনা ঘটবে সেটা বুঝতে পারিনি। পোস্ট অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারার জন্য তাদের মতামত জানা যায়নি।