পাপু লোহার, কাঁকসা :- দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় জাতীয় সড়কের রাজবাঁধ আন্ডার পাশের। খানা খন্দে গর্তে পড়া আন্ডার পাশ স্থানীয়রা বারবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা সত্ত্বেও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোন মেরামতের ব্যবস্থা নেয়নি। চলতি বর্ষায় সাধারণ মানুষের দীর্ঘশ্বাস উঠেছে যাতায়াত করতে অবশেষে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ সোমবার সকালে রাজবাঁধ আন্ডার পাশের ওপর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে আসানসোল ও কলকাতা গামী দুই দিকের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতির সামাল দেয় । এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘ বেশ কয়েক মাস ধরে রাজবাঁধ আন্ডার পাশ বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক পশলা বৃষ্টি হলে আন্ডার পাশে চল হাঁটু অব্দি উঠছে, যার ফলে পথ চলতি মানুষ থেকে বাইক টোটো ও ছোট চার চাকা নিত্যদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। বারবার অভিযোগ জানাই স্থানীয়রা তবুও প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

এর আগেও বেশ কয়েকবার স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন তাড়াতাড়ি কাজ হবে তবুও কাজ শুরু না হাওয়ায় এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ হয়ে তারা জাতীয় সড়কে উঠে আসে ও রাস্তা অবরোধ করে। ঝা চকচকে জাতীয় সড়ক অথচ তার লিংক রোড অর্থাৎ সার্ভিস রোডের পাশের জল নিকাশি ব্যবস্থা একদম নেই বললেই চলে যার ফলে আন্ডার পাশে জমছে জল আর এর মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা হচ্ছে যাতাযাত। সোমবার ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানা পুলিশ আসার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাস অবিলম্বে কাজ শুরু হবে। যদিও প্রশাসনের কথায় স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেয় তবুও তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে আগামী দিনে যদি আন্ডারপাসের মেরামতের কাজ না হয় তাহলে তারা এর থেকে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কোন এখনো পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মোহন পাল বলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কুম্ভকর্ণের মত ঘুমাচ্ছে আর সাধারণ মানুষ নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে এই আন্ডার পাশের উপর দিয়েই বেশ কয়েকটি হসপিটালের এম্বুলেন্স স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা নিত্যদিন যাতায়াত করে আর তাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় আগামী দিনে হয়তো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যেকেউ মারা যেতে পারে বারবার প্রশাসনের কাছে দরখাস্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নানা নয় আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি, যতক্ষণ না পর্যন্ত যতক্ষণ না পর্যন্ত রাস্তা মেরামত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবরোধ চলবে।
