নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – খানিকটা স্বস্তি! এবার আর থাকবে না চাকরি যাবার ভয়। এবার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে ভৎসর্নার মুখে পড়েছিল বি.এড. ট্রেনিং প্রাপ্ত প্রাথমিকে কর্মরত শিক্ষকরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন প্রাথমিকের প্রশিক্ষণ ছাড়া কী ভাবে প্রাথমিকের স্কুলে চাকরি করছেন কয়েক হাজার শিক্ষক? তারপর থেকেই অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটছিল এই শিক্ষকদের। তবে এবার খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলল।
সূত্রের খবর , ২০২০ সালের প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের প্রায় ৮০ শতাংশই বি.এড. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের প্রাথমিকের প্রশিক্ষণ নেই। শুধু তাই নয়, এতদিন ধরে ইন্টারভিউ নেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদেরও বেশিরভাগই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আর সেখানেই জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন ওঠে ওই সব শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে যাওয়া নিয়ে। আর এই সমস্যা সমাধানেই মমতা সরকার এবার উদ্যোগ নিল। কর্মরত যে সব প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেই তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত , NCTE‘র নির্দেশিকাতে বলা রয়েছে, বিএড এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও আবেদন করতে পারতেন। আর এই নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। এই নিয়মের বিরুদ্ধে কয়েকজন প্রাথমিকে আবেদনকারী মামলা করেন। তাদের অভিযোগ, প্রাথমিকে আবেদন করার জন্য বাঁধাধরা নিয়ম রয়েছে। তাহলে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নেই কেন? বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা কেন প্রাথমিকের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েই আবেদন করবে। এতে তাদের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
এই মামলার রায় হিসেবে আদালত জানায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন শুধু ডিএড ও ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। এবং উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে আবেদন করতে পারবে শুধু বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। আর এর পরেই রাজ্যের সব জেলায় প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপর তাদের ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণহীন সব শিক্ষকদেরই এই ট্রেনিংয়ের মধ্যে যেতে হবে।