নিজস্ব প্রতিনিধি , লক্ষনউ – সর্বধর্ম সমন্বয়ের দেশ ভারত। যেখানে নেই কোন জাতিভেদ প্রথা , নেই কোন অস্পৃশ্যতা। কিন্তু খোদ যোগীর রাজ্যের এবার দেখা মিললো চূড়ান্ত আপত্তিকর দৃশ্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে , এক সংখ্যালঘু পড়ুয়ার উপর অত্যাচার চালাচ্ছে গোটা ক্লাস। তাও আবার খোদ শিক্ষিকার নির্দেশে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মুখ লুকোচ্ছে মোদির ব্র্যান্ড যোগী। আর এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে সুশিক্ষার পাঠ পড়ালেন তৃণমূল।
ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরের একটি স্কুলে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ক্লাস চলাকালীন স্কুল শিক্ষিকার নির্দেশে সংখ্যালঘু ছাত্রের উপর গোটা ক্লাস অত্যাচার চালাচ্ছে। শুধু শারীরিক অত্যাচার নয়, রয়েছে মানসিক অত্যাচারও। আর এই ঘটনা প্রকাশ্য আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা দেশ। এমনকি ভাইরালও হয়েছে গোটা ঘটিনা।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেক প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ধর্ম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন একজন শিক্ষিকা? সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, শাস্তিই কি সব? এই মানসিকতার পরিবর্তন কি আদৌ সম্ভব?
এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। এই প্রসঙ্গে তৃনমূলের একাধিক নেতৃত্ব মুখ খুললেন। এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, উত্তরপ্রদেশে একটি স্কুলে সংখ্যালঘু ছাত্রের উপর অত্যাচারের ঘটনা দেখতে পেলাম। যেখানে শিক্ষিকা বসে বসে ওই সংখ্যালঘু ছাত্রের উপর মারধর করার নির্দেশ দিচ্ছেন গোটা ক্লাসকে। যোগী রাজ্যে একজন শিক্ষক সাম্প্রদায়িকতা উস্কানি দিচ্ছেন, যিনি কি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার কারিগর।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, মুজাফফর নগরের ঘটনা অত্যন্ত আপত্তিকর। স্কুল নিস্পাপ শিশুদের জায়গা সেখানে শিক্ষিকার উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন জাতিভেদের বিরুদ্ধে। এটাই কি শিক্ষা? এটা ধর্ম নিরপেক্ষতা? উত্তর প্রদেশ কলঙ্কের কাজ করল। তৃণমূলের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।