নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – বাঙালি স্বভাবতই অত্যন্ত ভ্রমণপিপাসু জাতি। বছরে একবার হলেও কোথাও না কোথাও ঘুরে আসতে মন চায়।বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় দীপুদা মানে দীঘা, পুরী ও দার্জিলিং। দু-তিন দিনের ছুটি পেলেই ঘুরে আসি দীঘা বা পুরী। তবে পাহাড় আকর্ষণীয় গন্তব্য বলে বিবেচিত হয়। পাহাড়ে যাবার জন্য সকলেই আগে থেকে পরিকল্পনা করে। কোথায় ঘুরতে, কিভাবে যাবো, কোথায় থাকবো, কোন কোন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরব। বাজেট অনুযায়ী হবে কি না? এই সব চিন্তা মাথায় ঘোরে।
হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চই হবে। এখন কম বাজেটেই পাহাড় ঘুরে আসতে পারেন। নর্থ বেঙ্গলের এই জায়গায়। গরমের সময় হোক বা বর্ষাকলে এমনকি শীতকালেও সব সময়ই পাহাড় মনোরম দৃশ্য হয়ে ধরা দেয়। নর্থ বেঙ্গলের দার্জিলিং বাঙালি তথা গোটা ভারতের কাছে ঘোরার জন্য দর্শনীয় স্থান। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে কলকাতায় গরম বাড়লেই ব্রিটিশরা বেড়াতে চলে আসতেন দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে। দার্জিলিং শহরকে পাহাড়ের রানী বলা হয়।
দার্জিলিং ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭,১০০ ফুট উচ্চতায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। প্রায় পুরো বছরই এই শহরে ঠান্ডা থাকে। দার্জিলিং পুরো বিশ্বের কাছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা ও রেলওয়ের জন্য বিখ্যাত। অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এই শহরে ভিড় জমায়।
শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ধরে দার্জিলিং। সেইখানে অনেক আপনার বাজেট অনুযায়ী হোটেল এবং রিসোর্ট পেয়ে যাবেন। আর খাওয়া দাওয়ার হাজারো ক্যাফে রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে দার্জিলিং ভ্রমণ স্থান হয়ে উঠেছে।
ঘুরতে যেতে পারেন টাইগার হিল, ঘুম স্টেশন, দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা, হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট, রক গার্ডেন, দার্জিলিং মল, মহাকাল টেম্পল এবং দার্জিলিংয়ের রোপ ওয়ে যা থেকে চা বাগানের অপুরুপ সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। আর ট্রয় ট্রেন এর কথা তো গোটা ভারত জানে।
কিন্তু ট্রেন টিকিটের অগ্রিম বুকিং নিয়ে মুশকিলে পড়তে হয় অনেকে। কিন্তু এখন রেলওয়ের খুব সহজেই টিকিট পরিষেবা চালু করেছেন। ততকাল তো আছেই তবে সুপার ততকাল ও চালু করেছে। বর্ষাকালে পাহাড়ি এলাকা একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বর্ষাকালে ট্রয় ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ থাকে। আর অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য মাঝে মাঝেই ধস নামে। সেই কারণেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।