নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব মেদিনীপুর- ফের বিজেপি রাজ নন্দীগ্রামে। মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠন করল রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি। এদিন ভোটাভুটিতে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাদের উপস্থিতিতেই ভাগ্য নির্ধারণ হলো বিজেপির। তবে তৃণমূল সাংসদ কোন দলে ভোট দিয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর , মঙ্গলবার ভোটাভুটি চলাকালীন তৃণমূলের এক সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর ভোট বাতিলের দাবি জানায় তৃণমূল। ভোট বাতিল না হওয়ায় তারা ভোট বয়কট করে বাইরে বেড়িয়ে যায়। তবে এতে ভোটে কোনো প্রভাব পড়েনি। ভোট শেষে নিজেদের জয়ের কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবার পর দুর্নীতির অভিযোগ এনে আদালতে যাবার হুঁশিয়ারি দেন তৃনমূল নেতারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উত্তাল ছিল এদিন।
ভোট শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, “আজ প্রথমে তৃণমূল ভোটে অংশ নিয়েছিল। সেখানে আমরা ২৩ জন ছিলাম অথচ ভোট পেলাম ২৪টি। এরপরেই তৃণমূল অসুস্থতার কথা বলে ভোট দান থেকে বেরিয়ে আসে”। শুভেন্দুর দাবি, “তৃণমূলের কেউ ভোট দিতে জানে না আবার কেউ ভুল জায়গায় ভোট দিয়েছে”। তার উক্তি, “এরা অশিক্ষিত তৃণমূল, ওরা আরও পড়াশোনা করুক”। এরপরেই শুভেন্দু জানান, “আমার সঙ্গে লড়তে গেলে দম লাগে। ওদের মালিককেও তো আমিই হারিয়েছি”।
অন্যদিকে, ভোটদান প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূলের তমলুক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সেক সাহাবুদ্দিন বলেন, “ভোট চলা কালীন আমাদের এক সদস্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। সেই সময় আমরা ভোটাভুটি স্থগিত রাখতে আবেদন জানাই। কিন্তু ব্লক আধিকারিক সেই কথায় কর্ণপাত করেননি। আমরা প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব।”
প্রসঙ্গত , নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূল প্রত্যেকেই ১৫ টি আসন জিতেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, বিধায়ক ও সাংসদ মিলিয়ে বিজেপির হাতে ছিল ২৩টি ভোট। কিন্তু বিজেপি পেয়েছে ২৪ টি ভোট। তাহলে এই অতিরিক্ত ভোটটি কে দিলো সেই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অবশ্য বিজেপির বক্তব্য তৃণমূলেরই লোক অশিক্ষিত তাই বিজেপিতে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে, তৃনমূলের তরফে দূর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।