নিজস্ব প্রতিনিধি , দিল্লি – দেশে লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে মোদি সরকারের। কাশ্মীর , তিন তালাক , রামমন্দির সহ একাধিক বিগ ইস্যুর এবার ‘এক দেশ , এক নির্বাচন’ নিয়ে কোমর কষছে বিজেপি। আগামী ১৮ই সেপ্টেম্বরে এই ইস্যুতে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছে মোদি সরকার। আগামী ২২ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই আলোচনা। এদিন এই বিষয়ে ট্যুইট করে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তবে এই অধিবেশনে যে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল নিয়েই আলোচনা হবে তা নিয়ে তেমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ট্যুইটে লেখেন, ‘সংসদের বিশেষ অধিবেশন (১৭তম লোকসভার ১৩ তম অধিবেশন এবং ২৬১তম রাজ্যসভার অধিবেশন) ডাকা হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ৫ টি সিটিং হবে। এই অমৃতকালের মধ্যেই ফলপ্রসূ আলোচনা হবে বলে আশাবাদী। তবে বিতর্কও প্রত্যাশা করা হচ্ছে’। সূত্রের খবর , স্বীকার না করলেও এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। যার শীর্ষে রয়েছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে সুর চড়িয়ে আসছিল বিজেপি। এই নীতিতে নির্বাচন হলে গোটা দেশের লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একইসঙ্গে করতে হবে। তবে নেই নীতিতে যেমন সুবিধা আছে তেমন অসুবিধাও প্রচুর আছে। এই নীতি কার্যকর করতে হলে সর্বপ্রথম সংবিধানেই একাধিক বদল আনতে হবে। দিল্লি , পশ্চিমবঙ্গ , কেরলের একাধিক রাজ্যের সরকারের মেয়াদকাল এখনো ৫ বছর হয়নি , সেই সব রাজ্যের সরকার ভেঙে দিতে হবে। যা আরও বিস্তর সমস্যা তৈরি করবে।
তবে রাজনৈতিক ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সব কিছুর মূলে সেই নির্বাচন-ই। কারণ এই পদ্ধতিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির পাল্লাই সব থেকে ভারী হবে। কারণ বেশ কয়েক দশক পর ২০১৪ সালে প্রথমবার একক সংখ্যগরিষ্ঠ পেয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি। বর্তমান পরিস্থিতি কোনোভাবেই তারা গদিচ্যুত হতে চাইছে না। এদিকে আগামী ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট একক ভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে গদি বাঁচানোর এই একটাই অস্ত্র মোদি সরকারের কাছে।