নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা- লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘এক দেশ এক ভোট‘ কার্যকর করতে এবার ‘আদাজল’ খেয়ে মাঠে নামল কেন্দ্র সরকার। সেপ্টেম্বরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর ডাকা পাঁচদিনের অধিবেশনেই এই নিয়ে প্রস্তাব রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই খবর জানাজানি হতেই কার্যত তোলপাড় গোটা রাজনৈতিক মহল। কেউ কেউ যেমন এর পক্ষে বলছেন তেমন বিপক্ষেও সুর চড়া হচ্ছে। এবার এই নিয়ে সুর চড়ালেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
এদিন বিধানসভা অধিবেশনের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ বলেন, তবে কি এবার ইউনিয়ন অফ স্টেটের যে সংজ্ঞা আছে সেটাকে কি ভেঙ্গে ফেলার চিন্তা-ভাবনা চলছে তারপর বলবে এক দেশ এক প্রধানমন্ত্রী ,মুখ্যমন্ত্রী আর থাকবে না ।আমরা জানি আমরা ইউনিয়ন স্টেটে আছি। সেই সংজ্ঞা কি আর থাকবে না। সব কি এবার প্রধানমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ করবেন, প্রশ্ন করলেন নওশাদ।
অন্যদিকে রাজ্যপালের উপাচার্য হওয়া নিয়ে তৃণমূলের আইনি পদক্ষেপ সম্পর্কে নওশাদ বললেন, যদি এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবার ব্যবস্থা থাকে তাহলে তারা নিতেই পারে। তবে এই ইস্যু নিয়ে অনেক দিন ধরে জল ঘোলা চলছে। রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের উচিত একযোগে বসে এই সমস্যা মেটানো।
তবে শুধু নওশাদই নন। এই এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিরোধীতা করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। তাদের দাবি, এই বিল পাশ হলে সেটা অসাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হবে। অন্যদিকে আঞ্চলিক দলগুলির দাবি, এক ভোট এক দেশ হলে তারা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। কারন বিধান সভা ভোট ও লোকসভা ভোট একসঙ্গে হলে তার প্রচার হবে জাতীয় স্তরে। সেই খরচের ধাক্কা বিশাল। যা তাদের পক্ষে পেরে ওঠা সম্ভব নয়। আবার তাদের আঞ্চলিক অসুবিধার কথা বিশেষ গুরুত্ব পাবে না বলাই বাহুল্য।