নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল সরকারকে বিরোধীরা সর্বদাই সংখ্যালঘু তোষণকারী আখ্যা দিয়ে রেখেছে। এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার একাধিক রাজনৈতিক নেতারা কুকথাও বলছেন , যদিও তাতে বিশেষ আমল দেননি তৃণমূল নেত্রী। তবে সংখ্যালঘু উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গের সরকারের ইতিবাচক ভূমিকাযে কতটা তা আরও একবার তথ্য পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো। গতমাসেই কেন্দ্রের প্রকাশিত তালিকায় ‘র্যাঙ্ক ওয়ান’ স্থান পেয়েছে বাংলা।
সূত্রের খবর , ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংখ্যালঘু উন্নয়নের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছে সংখ্যালঘু বৃত্তি , যা শিক্ষার্থীদের আগামীর পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও খুব সামান্য সুদে আর্থিকভাবে দুর্বল সংখ্যালঘু বেকার ছেলে-মেয়েদের ব্যবসা করার জন্য মাথা পিছু প্রায় ৫ লাখ টাকা করে ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এই ঋণ দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটি ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন।
এছাড়াও তথ্য বলছে , গতকয়েক বছরে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির হাল আমূল বদলেছে। পিছিয়ে থেকেও বর্তমানে সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে বিরাট সাফল্য পাচ্ছে। যদিও একথা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েই জানিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্য বলছে , গত পাঁচ বছরে ন্যাশনাল মাইনরিটিস ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশনের যে সমস্ত প্রকল্প আছে , তা সবথেকে বেশি রূপায়িত বা ব্যবহার হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের ‘র্যাঙ্ক ওয়ান’ তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলা।