নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম – শুক্রবার রাত থেকে দফায় দফায় লোডশেডিং এ বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম জেলার জনজীবন। প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বাসিন্দাদের। রাতভর দুর্ভোগে নাজেহাল গ্রামের খুদে থেকে বয়স্করা প্রত্যেকে। লোডশেডিং এর কবলে পড়ে কার্যত নাভিশ্বাস জেলার মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাত এগারোটা নাগাদ লোডশেডিং শুরু হয়। ঘন্টা দু’য়েক লোডশেডিং থাকার পর বিদ্যুৎ এলেও ফের ভোরের দিকে লোডশেডিং হয়। সেবারও ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে জেলায়। আর তারপর ফের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে আর আসেনি। এলাকাবাসীদের কথায়, প্রায় ১০-১২ ঘন্টা হয়ে গেছে, বিদ্যুতের দেখা নেই।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়েক মাস যাবতই এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। আগে কারেন্ট দিনে একবার যেত। এখন দিনে কখনও কখনও ১০-১২ বার পর্যন্ত চলে যায়। আর এই সব অভিযোগ বিদ্যুৎ দফতরকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়না। তারা কর্ণপাতই করেন না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এমনকি ফোন করে অভিযোগ জানাতে গেলে, তারা সেই ফোন বন্ধ রেখে দেয়, ফলে যোগাযোগও করা যায় না।
আরও এক গ্রামবাসীর কথায়, “বিদ্যুতের বিল দিতে একদিন দেরি হয়ে গেলে বাড়িতে এসে কর্মীরা বলে যায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। আর এদিকে যে দিনে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে, সেব্যাপারে তাঁদের কোনও হেলদোল নেই। ফলে গভীর সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
একদিকে দফায় দফায় লোডশেডিং অন্যদিকে প্রবল হাঁসফাঁস গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত জেলার মানুষদের। বহু ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের সরবরাহও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে জলহীন, বিদ্যুৎহীন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ঝাড়গ্রামের।