নিজস্ব প্রতিনিধি, নদীয়া – বিএসএফ ও ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই) টিমের যৌথ অভিযানে নদিয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর এলাকা থেকে উদ্ধার হল ১০৬ টি সোনার বিস্কুট। ভারতীয় মুদ্রায় যার বাজার মূল্য সাড়ে ৮ কোটি টাকা। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জন পাচারকারীকে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর গ্রামে একটি বাড়িতে হানা দেয় বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কর্মকর্তারা। তাঁদের সাথেই ছিলেন কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর বা ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই) টিমের সদস্যরা। উভয় দলের যৌথ উদ্যোগে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ১০৬ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণে এই সোনার বিস্কুটগুলি পাচারের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বসতবাড়িতে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে বাড়ির মালিক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষ নামের ২ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা দুজনেই বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট গুলির ওজন ১৪.২৯৬ কেজি।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলি শনিবার সকালে বাংলাদেশের নাস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ ও নাসির নামের ২ জন চোরাচালানকারীর কাছ থেকে তাঁরা সংগ্রহ করেছিল। এবং সেগুলি বিজয়পুর সংলগ্ন গেদে গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ হালদারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের কড়া নজরদারি। যার কারণে সোনার বিস্কুট গুলিকে গোপনে বিজয়পুরের বাসিন্দা ধৃত রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কর্মীরা ও ডিআরআই এর যৌথ অভিযানে সেগুলি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষ নামের ২ পাচারকারীকে।