নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর- গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় জনতা পার্টির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার কাঁথি শহরের করকুলিতে জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন হয়। আর সোমবার এই কার্যালয় পরিদর্শনে এলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ফিতে কেটে কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়ক অরূপ দাস, এবং বিজেপি মোর্চার বিভিন্ন কর্মকর্তারা। এদিন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য হওয়া নিয়ে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যপাল যা করছেন ঠিক করেছেন। এ রাজ্যের শাসক দল বেআইনী কাজ করেছে বলে হাইকোর্টে হেরেছে। পরে সুপ্রিমকোর্টে গেছে। সেখানেও হারবে। শাসকদল পারেনি। সেটা রাজ্যপাল করছে। ওদের তাতেও সমস্যা।
অন্যদিকে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলবদল প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “তৃনমূল কংগ্রেস একজন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিতে সামনে এনে ভোটে জিততে চাইছে। কিন্তু তাদের দল থেকেই তো সদ্য প্রাক্তন এমএলএ আমাদের দলে এসেছে। তাই এসব করে কিছু লাভ হবে না। মানুষ সব জানে। তারা ঠিক করে ভোট দিতে পারলে তৃনমূল কোনো ভাবেই ভোটে জিততে পারবে না।”
পাশাপাশি আইসিডিএসের খাবারের মান সম্পর্কে শুভেন্দু বলেন, আইসিডিএসের বাচ্চারা তো ভোটার নয়। তাই তাদেরকে মু্খ্যমন্ত্রীর কোনো কাজে লাগবে না। উনি শুধু ভোট খোঁজেন। তাদের মায়েদের ভোট লাগবে তাই তাদের লক্ষ্মী ভান্ডার দিচ্ছে। আর সেই জন্যই ইমাম মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেন। সুতরাং সবটাই ভোট কেন্দ্রীক।
এরপরেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র স্ট্যালিনের মন্তব্য নিয়ে এরাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রীকে তুলোধোনা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারলে স্ট্যালিনের বিরোধীতা করে দেখাক।
প্রসঙ্গত, ‘সনাতন অ্যাবলিশন কনফারেন্সে’ নামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন উদয়ানিধি স্ট্যালিন। এই অনুষ্ঠানে স্ট্যালিন বলেন, ‘কিছু জিনিসের কখনও প্রতিবাদ করা যায় না। আসলে সেগুলির অবলুপ্তি ঘটানো দরকার। আমরা ডেঙ্গু, মশা, ম্যালেরিয়া বা করোনার বিরোধিতা করি না। আমরা তা নির্মূল করি। ঠিক একই ভাবে আমাদের সনাতন ধর্মকে নির্মূল করতে হবে’।