নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা- যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভের আগুন এখনও প্রশমিত হয়নি। এই অবস্থায় নয়া মোড় নিল এই ঘটনা। মঙ্গলবার ৪ জন বর্তমান পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। এমনকি ২৫ জন প্রাক্তন পড়ুয়াকে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত কমিটির তরফে। এখানেই শেষ নয়। এই ঘটনায় হোস্টেলের সুপারের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠছিল। এবার তাকেও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে নতুন করে আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হল এদিন।
সূত্রের খবর, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আগেই একটি রিপোর্ট পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি। এবার ফের মঙ্গলবার একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেই রিপোর্টেই নির্দিষ্ট করে চারজন পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি শীঘ্রই ২৫ জন প্রাক্তনীকে হোস্টেল থেকে বার করে দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে অরিত্র ওরফে ‘আলু’কে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তদন্ত কমিটি। বলা হয়েছে, সে যদি কাশ্মীরেই থাকবে তাহলে একসঙ্গে একাধিক সই কী করে করল? এরই সঙ্গে হোস্টেল সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তাকে শাস্তি দেবার সুপারিশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর ‘গায়েব’ ছিলেন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার। তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এর কিছুদিন পর হঠাৎই তাঁর ‘আবির্ভাব’ ঘটে। এরপর তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি কাশ্মীরে ছিলেন, যেটা তার পূর্ব পরিকল্পনার অংশ ছিল। তাই ঘটনার দিন হস্টেলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। এমনকি কাশ্মীর যাবার সমস্ত টিকিট এবং নথি সামনে এনেছিলেন।
তবে হোস্টেলে রেজিস্ট্রারের খাতায় দেখা যায় ১১ তারিখের ঘরে তার সই রয়েছে। সে সময় তিনি কাশ্মীরে থাকলে কী করে তিনি রেজিস্ট্রারে সই করলেন সেই প্রশ্ন ওঠে। তবে ‘আলু’ দাবি করেন ভুলবশত তিনি ৩ দিনের সই করে ফেলায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি তাই? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।