নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। নতুন দুটি মেডিক্যাল কলেজ ও তৈরি হচ্ছে বাংলায়। আর এসবের মধ্যেই নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। একজন চিকিত্সককে মাসে কত রোগী দেখতে হবে, একজন সার্জনকে কম করেও কটা অপারেশন করতে হবে সে সংখ্যা এবার বেঁধে দিল রাজ্য সরকার।
মানুষজন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে চিকিত্সা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। আবার অপারেশনের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তাই মানুষের স্বার্থে আউটডোরে রোগী দেখা এবং অপারেশন করার সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জারি হয়েছে নির্দেশ।
গত ৩১ অগস্ট সমস্ত জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি দেন স্বাস্থ্যসচিব। চিঠিতে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকদের পারফরম্যান্স বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নিতেই হবে। কারণ রাজ্যের হাসপাতাল গুলোতে অপারেশনের সংখ্যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
এছাড়াও ১৪টি জেলা হাসপাতাল, ৩৪টি মহকুমা হাসপাতাল, ২০টি মেডিক্যাল কলেজ, ২৪টি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও ১১টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আউটডোরে চিকিত্সকদের রোগী দেখার সংখ্যাও অনেক কম। এই পরিসংখ্যাণ সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যভবন। পরিষেবার মান উন্নত করতে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট , একজন চিকিত্সক হাসপাতালের আউটডোরে এক মাসে অন্তত ১ হাজার ৯৫০ রোগী দেখবেন। আর একজন সার্জেনকে সপ্তাহে অন্তত সাতটি বড় অপারেশন করতেই হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর বলে সূত্রের খবর।