নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা- ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শনে ইসরোর প্রতিনিধি দল। সমস্ত জায়গা ঘুরে ঘুরে কোন কোন গেটে বসানো মেতে পারে সিসিটিভি সেই বিষয় দেখলেন তারা। এমনকি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি আরো নিশ্চিত করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহার কোন কোন জায়গায় করা যেতে পারে তার একটা ছক কষে গেলেন ইসরোর প্রতিনিধি দল। এদিন ইসরোর দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ, সহ উপাচার্য ও অধ্যাপকরা পরিদর্শন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা।
সূত্রের খবর, বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরো টিমের দ্বিতীয় দিন। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ৫টি গেট রয়েছে সেই সমস্ত গেট থেকে শুরু করে, গার্লস হোস্টেল, ডিন অফ স্টুডেন্ট এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিউ মেন হোস্টেল যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রথম বর্ষে ছাত্রদের এই মুহূর্তে রাখা হয়েছে সেই জায়গা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রায় সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন তারা।
এদিন মূলত যে বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা হয়েছে সেগুলো হল-
১) হোস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের ডেটাবেস তৈরির জন্য ক্লাউড তৈরি।
২) হোস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি লাগানো সম্ভব কিনা খতিয়ে দেখা।
৩)ক্যাম্পাসের গেটে AI ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা।
৪) ফেসিয়াল রেকগনিশনের মাধ্যমে বাইরের কাউকে শনাক্ত করা
৫) ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিংয়ের পরিবেশ আছে কিনা খতিয়ে দেখা।
এই বিষয়ে উপাচার্য জানিয়েছেন, “এটা সময়সাপেক্ষ। কারণ এটা একটা রিসার্চ প্রজেক্ট। তার কতগুলো ধাপ আছে। এখানে অনেক কিছু পর্যবেক্ষণের ব্যাপারও রয়েছে। স্পট ভেরিফিকেশন হয়ে গিয়েছে। যেহেতু এটা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাই এখানে বেশ কিছু বিষয় নজরে রাখতে হবে। সেগুলো দেখে পর পর ধাপ মেনে এগোনো হবে। ইসরোকে আমরা পাশে চাইছি, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ইসরোকে জানানো হবে। আপাতত রিকোয়ারমেন্ট অ্যানালিসিস হবে।”