নিজস্ব প্রতিনিধি , দিল্লি – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ দিবসের বৈঠকে যোগ। আর তারপরেই এদিন বিজেপি ছাড়লেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু। বধুবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকারে দেবার সময় তার বিজেপি ছাড়ার কথা জানান তিনি। তবে ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডাকে একটি চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছেন তিনি৷
২০১৬ সালে চন্দ্র বসু যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে এবং বিজেপির টিকিটে দুবার নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। ২০১৬ সালে বিধানসভা এবং ২০১৯ সালে তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। আর এরমধ্যেও বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। তার দাবি “নেতাজির দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েও দল পূরণ করেনি”, তাই এই সিদ্ধান্ত তাঁর, এমনই দাবি করেছেন তিনি।
এদিন নাড্ডাকে পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘মোদিজির নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই ২০১৬ সালে বিজেপি-তে যোগদান করেছিলাম… তখন তো বটেই, এমনকি এখনও আমি চেয়েছিলাম বিজেপির মাধ্যমে শরৎচন্দ্র বসু ও সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক৷ তখন ঠিক হয়েছিল বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যেই আজাদ হিন্দ মোর্চা তৈরি হবে, যার মাধ্যমে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত ভারতীয়ের মধ্যে নেতাজির আদর্শ প্রচার করা হবে৷’
কিন্তু, চন্দ্র বসুর অভিযোগ, ‘এবিষয়ে একাধিক বার নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও রকমের কোনও সাড়া তিনি পাননি৷ শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনোর জন্য দলের কাছে ‘বেঙ্গল স্ট্র্যাটেজি’ পাঠিয়েছিলেন তিনি৷ যেটা সম্পূর্ণ ভাবে অবহেলা করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ আর তাই আমি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’