নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু, এই কার্ড নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। বেশিরভাগ রোগীর পরিবার অভিযোগ করেন যে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গেলে রোগীকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। আর এসবের মধ্যে এবার নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্যসরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি নিলে হাসপাতাল নির্মাণে মিলবে ছাড়। এদিন এমনটাই ঘোষণা করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের সূচনা করেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি রাজ্যের ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে সুবিধা প্রদান করেছে। রাজ্য সরকার বছরে এই প্রকল্পের অধীনে আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করে। রাজ্য সরকারের এই স্কিমের অধীনে রাজ্যের প্রতিটি পরিবার বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার কভার পায়।
কিন্তু এর পরেও একাধিক হাসপাতাল আর নাসিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার সত্বেও অনেক সময় রোগীকে ভর্তি নিতে চান না। আর এবার বিল্ডিং নির্মাণে ‘অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়া’ চেয়ে আবেদন করা বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যসাথীতে ভর্তি নিলে তবেই হাসপাতালের ওয়ার্ডও সম্প্রসারণে অনুমতি মিলবে বলে জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিন ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,”যে ফ্লোর বাড়তি নেবে সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি ওয়ার্ড করতেই হবে। বাংলার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিত্সা পরিষেবা দিতে মুখ্যমন্ত্রী যে প্রয়াস নিয়েছেন তা আরও বেশি করে কার্যকর করতে এটা কলকাতা পুরসভার নীতিগত সিদ্ধান্ত। তবে নিউরো সায়েন্সের মতো উডল্যান্ড ও মেডিকাও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভরতির শর্ত মেনে নেওয়ায় প্ল্যান মঞ্জুর করেছি। কলকাতা পুরসভার অফিসার ও কর্মীদের পাশাপাশি শহরের বাসিন্দারাও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বর্ধিত বেডে বিনামূল্যে চিকিত্সার সুযোগ পাবেন।”