নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা- ‘হুমকি’ সত্যি হল! ফের রাজ্যপালের মাঝরাতে পত্রবাণ নিক্ষেপ। রবিবার মাঝরাতে দিল্লি এবং নবান্নে চিঠি গেল রাজভবনের তরফে। তবে কি আছে সেই খামবন্দী চিঠিতে? রাজ্য এবং রাজ্যপাল কারোর তরফেই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে উপাচার্য ইস্যু সংক্রান্ত কোনো বিষয়ই ওই চিঠিতে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানের যোগ দিতে রাজ্যপাল কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “যা করছি তার জন্য আমি গর্বিত। আমার আচরণে আমি খুশি। মধ্যরাত পর্যন্ত দেখতে থাকুন, কী করতে চলেছি।” রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরে মাঝরাতে কি হবে সেটা দেখার জন্য সকলের নজর ছিল। এরপর রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের পর শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী দয়া করে সতর্ক থাকুন। ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী, ‘রাক্ষস প্রহরের’ জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।”
শিক্ষামন্ত্রীর এহেন পোস্টের পর জল্পনা শুরু হয়েছিল। তিনি কাকে ইঙ্গিত করছেন এই নিয়ে। তবে সেটা রাজ্যপাল ছাড়া যে অন্য কেউ নয় তা বুঝতে বাকি ছিলনা কারোর। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল তাঁর ‘কথা’ রাখলেন। মাঝরাতে ফের পত্রবাণ ছুঁড়লেন। একটি চিঠি নবান্নকে ও একটি চিঠি দিল্লিতে পাঠালেন। তবে বিষয়বস্তু এখনও স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট না হলেও সাম্প্রতিক রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে ঝড় উঠেছে তা ছাড়া অন্য কিছু হবার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে জরুরী তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আলোচনা। তবে আলোচনার পর আর কোনো আপডেট দেওয়া হয়নি দুই পক্ষের তরফে। সেই আলোচনার পরেই আবার রাজ্য ও কেন্দ্রের কাছে চিঠি গেল রাজভবনের তরফে।