নিজস্ব সংবাদদাতা, দূর্গাপুর।
একবিংশ শতাব্দীর বুকে মেঠো পথের আড়ালে আজও অন্ধকারেই ডুবে আছে বহু গ্রাম। দারিদ্রতার তাড়নায় জ্বলেনি শিক্ষার আলো। কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা আর অশিক্ষা থেকে শিশুদের বের করার আগুন জ্বালিয়ে মরমিয়া বাউলের সুরে এক নতুন ইতিহাস গড়বে “কিশলয় এর গল্প”। সময় প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি বহু প্রান্তিক এলাকা। শিশুদের মধ্যে আজও পৌঁছায়নি সাক্ষরতা। ছোট থেকেই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ধ্বংসের মুখে শৈশব। সেই শৈশব বেড়ে যখন যৌবনে পরিণত হচ্ছে তখনই ঘটছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ। পরিচালক সোনা চাঁদ সামন্তের লেখা ‘কিশলয় এর গল্প’। আর গল্পের প্রধান চরিত্রে অন্ডালের সন্দীপ চক্রবর্তী। বড় পর্দায় মুক্তি পাবে চলতি বছরের মে মাসে। দেখা যাবে ভারতবর্ষের অধিকাংশ সিনেমা হলে। পরিচালক সোনা চাঁদ সামন্ত বলেন, তিনি যখন বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার বহু প্রান্তিক এলাকায় শুটিংয়ে যেতেন তখন দেখতেন বহু ছোট ছোট শিশুর পকেট থেকে বের হচ্ছে দেশলাই বিডি, সিগারেট।

বিদ্যালয়ের কথা বললেই নিশ্চুপ ওঁরা। ওঁরা জানেই না শিক্ষা কি জিনিস। কোথায় গেলে শিক্ষা পাওয়া যায়। পরিচালক ‘কিশলয় এর গল্পের’ মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন ধান চাষের জমিতে ধানের বীজ রোপনের পর সময়ের তালে কিভাবে বেড়ে ওঠে আবার কিভাবে সময়ের সাথে কাটা হয়। সময় যে পরিবর্তনের তা ধান চাষের জমি থেকেই প্রমাণিত। কিন্তু ধানের সময়ের তালে ধানের পরিবর্তনের মত পরিবর্তন হয়না সেইসব প্রান্তিক এলাকা। ছবিতে ওঁদের চেতনা জাগবে শিক্ষিত সমাজ। প্রধান চরিত্রে শিক্ষকের ভূমিকায় সন্দীপ চক্রবর্তী। তিনি প্রান্তিক এলাকার শিশুদের শিক্ষালয়ে নিয়ে গিয়ে জ্বালাবেন সাক্ষরতার আলো। কুসংস্কার, দারিদ্রতা আর সাম্প্রদায়িকতা থেকে বেরিয়ে এসে ওঁরাও মরমিয়া বাউলের সুরে বলবে ‘মানুষ দেবতা হয়, হয় অবতার’।
