পাপু লোহার, কাঁকসা :- পানাগড় হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট কাটতে তাই দুমাস সময় পুলিশ প্রশাসনের । দুর্গাপুরের কাঁকসার সারদা পল্লীতে একই পরিবারের তিন জনের নৃশংস খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে শনিবার কাঁকসা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে সেই দিনকার ঘটনার পুনর্নিমান করলো, ঘটনার দিন থেকে তিনটে মোবাইল রহস্যজনক ভাবে উধাও ছিল, কাঁকসা থানার পুলিশ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে আজ লোক নামিয়ে পুকুরের জল মেরে ঐ তিনটি মোবাইলের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করে, কাঁকসা থানার পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই খুনের ঘটনায় এই মোবাইল গুলি অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিতে পারে।গত ১০ই নভেম্বর দুর্গাপুরের কাঁকসার সারদা পল্লীতে একই পরিবারের তিন জন নৃশংস ভাবে খুন হন। মৃতেরা সম্পর্কে ঠাকুমা ও নাতি নাতনি। মৃত তিন জনের নাম সীতা দেবী বয়স ৭০, সিমরান বিশ্বকর্মা বয়স ২২, আর সোনু বিশ্বর্কমা বয়স ১৭ বছর। একটি ঘরের মধ্যে সিমরান ও গীতা দেবীর রক্তাত্ত দেহ পড়ে ছিল আর সোনুর দেহ পড়েছিল বাড়ির বাইরে বাথরমের মধ্যে।এরপর তদন্তে নামে কাঁকসা থানার পুলিশ, তদন্তে নেমে পুলিশ রিঙ্কি বিশ্বকর্মাকে গ্রেপ্তার করে দু তারিখ,এই রিঙ্কি বিশ্বকর্মা সিমরানের সম্পর্কে কাকিমা।রিঙ্কি বিশ্বর্কমা কে জেরা করে পুলিশ পড়শী প্রসেনজিৎ বিশ্বকর্মা, ও পানাগড় বাজারের বাসিন্দা শেখ জুনেদকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,সম্ভত কাকিমার অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যায় সিমরান,আর যার নির্মম পরিণতি এই খুন, আর খুনের প্রমান লোপাট করতেই বাকি দু জনকে খুন করে অপরাধীরা।

শনিবার অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ বিশ্বকর্মা ও রিঙ্কি বিশ্বকর্মাকে নিয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ সারদা পল্লীতে সেই অভিশপ্ত বাড়িতে আসেন, অভিযুক্ত রিঙ্কি বিশ্বকর্মা ও প্রসেনজিৎ বিশ্বকর্মাকে সারদা পল্লীর সেই বাড়িতে নিয়ে এসে পুলিশ ঘটনার দিনের পুনর্নিমান করে পুরো ঘটনার, গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ,আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের পদস্থ কর্তারা।ঘটনার দিন থেকে তিনটি মোবাইল মিসিং রয়েছে, পুলিশের সন্দেহ বাড়ির পাশেই একটি পুকুরের মধ্যে এই তিনটি মোবাইল প্রমান লোপাট করতে ফেলে দেওয়া হয়,ঐ মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেতে পারে বলে মনে করছে, সেই পুকুরের জল মেরে আজ আজ তিনটি মোবাইলের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করে কাঁকসা থানার পুলিশ,পাম্প লাগিয়ে পুকুরের জল মেরে ঐ তিনটি মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করা হয়।আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি সুমন জয়সওয়াল জানান, পুলিশ তদন্তে আরো গতি আনতে চাইছে, শুধু এই তিনজন নয় এই অপরাধের সাথে আরো অনেকে যুক্ত থাকতে পারে, অবৈধ সম্পর্কই যে এই খুনের কারণ সেটা স্বীকার করে নেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এই পদস্থ আধিকারিক, আর অভিযুক্ত রিঙ্কি বিশ্বকর্মা আজও যাবতীয় অভিযোগ করেছে, আর সিমরানের বাবা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করেছেন। আজ গোটা ঘটনাকে ঘিরে পানাগড় রেলপাড় সংলগ্ন সারদা পল্লীতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে* ।