পাপু লোহার, বুদবুদ:-
মঙ্গলবার সকালে গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বুদবুদ গ্রামের সান্ধিপুর গ্রাম, প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব।বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোনোক্রমে সামাল দেয়। এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হলো, মারধর করা হলো কালিপদ বাগদি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে, অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তপন বাগদি, স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি কালিপদ বাগদি বলে ঐ তৃণমূল কর্মী।গতকাল মকর সংক্রান্তি থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত। আহত তৃণমূল কর্মী কালিপদ বাগদির পরিবারের অভিযোগ,যারা বাড়ি ভাঙচুর করতে এসেছিলো এরা সবাই তৃণমূল করে এমনকি মারধরের ঘটনায় জড়িত এরাই। দলের একাংশর বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সরব হয়েছে বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তপন বাগদির স্ত্রী পদ্মা বাগদি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী, পুলিশি টহল শুরু হয়েছে গোটা সান্ধিপুর গ্রামে, ছুটে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের পদস্থ কর্তারা। যদিও দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব মানতে নারাজ গলসি এক নম্বর ব্লক সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জী, তবে দলের কেউ জড়িত থাকলে পুলিশ নিজের মতো করে ব্যবস্থা নিক সাফাই তৃণমূল নেতার। যদিও শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়ে সরব হয়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব, দলের নেতা রমণ শর্মার অভিযোগ অশান্তির আবহ তৈরী করে রেখেছে তৃণমূল, অবিলম্বে প্রশাসন শক্ত হাতে এর মোকাবিলা না করে তাহলে লাগতার আন্দোলন শুরু করবে বিজেপি নেতৃত্ব। এইদিকে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর পরিবার সোচ্চার হয়েছে বুদবুদ থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও, পুলিশের সামনেই ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা আরও জানিয়েছেন দামোদর নদীর পাড়ে সন্ধিপুর এলাকা মূলত বালিরঘাট দখল কে ঘিরেই এই গোস্টি দ্বন্দ্ব।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি কাঁকসা সুমন জয়সওয়ালের দাবি অশান্তি দমন করতে পুলিশ তৎপর, এখন পরিস্তিতি শান্ত। নতুন করে অশান্তি এড়াতে বুদবুদের সান্ধিপুর গ্রাম ও বড়চাতরা গ্রামে পুলিশ বাহিনী মোতায়ন রয়েছে,আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ,কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে বুদবুদ এর এই দুই গ্রাম।