23 C
New York
Monday, July 7, 2025
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
More

    এই মুহূর্তে

    বালি মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য এখন পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের রণডিহা ড্যাম , দিন দিন হারাচ্ছে ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ । 

    পাপু লোহার , বুদবুদ :- কয়লা বালি মাফিয়াদের ধর-পাকড় নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় যখন । সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের রণডিহা ড্যামে  বালি মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য আর এই স্বর্গরাজ্যে অবৈধ বালি পাচার চলচ্ছে শুধুমাত্র থানাকে টাকা দিয়েই , এই খবর জানাজানি হতে নদীর বালি প্রশাসনের চোখের বালি হয়ে দাঁড়ালো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চুরি করে বালি কয়লা মাটি পাচার করা যাবে না অবিলম্বে সেই সমস্ত জায়গায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রসাশনের চোখে বালি দিয়ে অবৈধ্য বালি চলছে এই এলাকায় বেশকিছু বালি মাফিয়া যারা শাসক দলের মদতেই বালি পাচার করে বলে সড়ক হয়েছেন রণডিহা ড্যামের । বালি মাফিয়ারা নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন না মেনেই যেখান সেখান থেকে বালি তুলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে বালির কারবারি । নেই বালি ঘাট নেই বৈধ লাইসেন্স,নেই বৈধ চালান।প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রীতিমত অবাধে চলছে বুদবুদের রণডিহা ড্যামের থেকে ৫০০ মিটার দূরে অবাধে বালি লুটের কারবার। খবর পাওয়ার পরই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা সেখানে গিয়ে ছবি তুলতেই। ক্যামেরা দেখে রীতিমতো পরি কি মরি করে মুখ ঢেকে দামোদর নদের মাঝেই ট্রাক্টরের লোড করা বালি খালি করে চালকরা মুখ ঢেকে ট্রাক্টর নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে ক্যামেরা দেখেই যে সমস্ত শ্রমিকরা কোদাল বেলচা নিয়ে ট্রাক্টরে বালি তোলার কাজ করছিল। তারাও দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দামোদর নদীর রণডিহা ড্যামের থেকে ৫০০ মিটার দূরে অবাধে বালি তোলার ফলে অচিরেই নদীর গতি পথ পরিবর্তন হতে পারে অথবা বর্ষায় নদীর পাড় ভাঙ্গন । পাশাপাশি রণডিহা ড্যামের কয়েকশো মিটার এলাকা এমনিতেই মরণফাঁদ এই মরণ ফাঁদে বহু মানুষ তলিয়ে গেছে আর সেখান থেকেই ঢিল ছড়া দূরত্বের চলছে বালি তোলার কাজ যার ফলে আগামী দিনে এই মরন মরণ ফাঁদ আরো বিপদজনক হতে চলেছে , আগামী দিনে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হলে তার দায় কার ওপর বর্তাবে ।

    PSX 20240524 223546

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন অভিযোগ করেছেন এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যার কারনে প্রশাসন কোন নজরদারি চালায় না ওই এলাকায়। এলাকারই প্রায় ১৫ জন ট্রাক্টরের মালিক এই অবৈধ বালি পাচারে কারবারের সাথে যুক্ত । গোপন সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় বাসিন্দা জয়রাম ঘোষ, সৌরভ ঘোষ (রাজা), দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তি এই বালি পাচারের সাথে যুক্ত। বালি কারবারি দিলীপ ঘোষ ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন থানাকে তারা রীতিমত টাকা দিয়েই এই বালি কারবার চালাচ্ছে। এমনকি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তারা এই ঘটনার কথা জানেনই না বলে স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে আর চাঁকতেতুল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ মেটে কে ফোন করা হলে তিনি ফোনে প্রথমেই বিষয়টি জানেন না বলে স্বীকার করেন। পরে তাকে উপযুক্ত প্রমাণ থাকার কথা বলা হলে তিনি জানান যেহেতু দামোদর নদ বাঁকুড়া জেলায় পড়ে তাই তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না এবং এই বিষয়ে যদি কিছু বলতেও পারবেন না। তার কাছে কোনো তথ্য নেই যে এলাকা থেকে দামোদর নদী থেকে অবৈধ্য বালি চুরি চলছে । তবে কি তারা সমস্ত কিছু জেনেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। নাকি উচ্চ নেতৃত্তের চাপে কিছু বলতে চাইছেন না।

    PSX 20240524 223522

    এই ঘটনা পর রাজ্য রাজনীতি জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপির নেতা রমন শর্মা  পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন চলছে বলে কটাক্ষ করেন পাশাপাশি আরো বলেন পর্যটন কেন্দ্র কে আরো বিপদজনক মরণফাঁদ  তৈরি করছে এই বালি মাফিয়ারা । অন্যদিকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জানান এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান যদি কানে তুলো আর পিঠে কুলো বেঁধে বসে থাকেন তাহলে তিনি কিছু দেখতেও পাবেন না কিছু শুনতেও পাবেন না পুরো বালি পাচারের প্রক্রিয়াটা তৃণমূলের নেতা,পুলিশ ও বালি মাফিয়াদের প্যাকেজ সিস্টেমে চলছে। যে প্যাকেজের ভাগ কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে হয় এটাই পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন। প্রশ্ন উঠেছে বালি যদি বাঁকুড়া জেলায় তোলা হয় সেই অবৈধ বালি যখন বুদবুদের রণডিহা,চাকতেঁতুল হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে তখন পঞ্চায়েতের বা প্রশাসন এই বিষয়ে কেন কোনো নজরদারি নেই। সকলের মুখে কুলুপ আটার ফলে প্রশ্ন উঠছে তবে কি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মদতেই অবাধে চলছে এই বালির পাচারের কারবার।  কতদিন চলবে এরকম অরাজকতা প্রশাসন সবকিছু দেখেও দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকবে না পকেট ভরাবে। বুদবুদের বালি মাফিয়া রাজ অব্যাহত থাকবে আর রণডিহা ড্যামের পর্যটন কেন্দ্র আগামী দিনে ধ্বংসের পথে এগোবেএমনকি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তারা এই ঘটনার কথা জানেনই না বলে স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে আর চাঁকতেতুল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ মেটে কে ফোন করা হলে তিনি ফোনে প্রথমেই বিষয়টি জানেন না বলে স্বীকার করেন। পরে তাকে উপযুক্ত প্রমাণ থাকার কথা বলা হলে তিনি জানান যেহেতু দামোদর নদ বাঁকুড়া জেলায় পড়ে তাই তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না এবং এই বিষয়ে যদি কিছু বলতেও পারবেন না। তার কাছে কোনো তথ্য নেই যে এলাকা থেকে দামোদর নদী থেকে অবৈধ্য বালি চুরি চলছে । তবে কি তারা সমস্ত কিছু জেনেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। নাকি উচ্চ নেতৃত্তের চাপে কিছু বলতে চাইছেন না। এই ঘটনা পর রাজ্য রাজনীতি জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপির নেতা রমন শর্মা  পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন চলছে বলে কটাক্ষ করেন পাশাপাশি আরো বলেন পর্যটন কেন্দ্র কে আরো বিপদজনক মরণফাঁদ  তৈরি করছে এই বালি মাফিয়ারা । অন্যদিকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জানান এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান যদি কানে তুলো আর পিঠে কুলো বেঁধে বসে থাকেন তাহলে তিনি কিছু দেখতেও পাবেন না কিছু শুনতেও পাবেন না পুরো বালি পাচারের প্রক্রিয়াটা তৃণমূলের নেতা,পুলিশ ও বালি মাফিয়াদেরপ্যাকেজ সিস্টেমে চলছে। যে প্যাকেজের ভাগ কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে হয় এটাই পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন। প্রশ্ন উঠেছে বালি যদি বাঁকুড়া জেলায় তোলা হয় সেই অবৈধ বালি যখন বুদবুদের রণডিহা,চাকতেঁতুল হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে তখন পঞ্চায়েতের বা প্রশাসন এই বিষয়ে কেন কোনো নজরদারি নেই। সকলের মুখে কুলুপ আটার ফলে প্রশ্ন উঠছে তবে কি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মদতেই অবাধে চলছে এই বালির পাচারের কারবার।  কতদিন চলবে এরকম অরাজকতা প্রশাসন সবকিছু দেখেও দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকবে না পকেট ভরাবে। বুদবুদের বালি মাফিয়া রাজ অব্যাহত থাকবে আর রণডিহা ড্যামের পর্যটন কেন্দ্র আগামী দিনে ধ্বংসের পথে এগোবে ।

    PSX 20240524 231359

    এই মুহূর্তে

    spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

    এড়িয়ে যাবেন না

    spot_imgspot_imgspot_imgspot_img