নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – মহাসমারোহের সঙ্গে আজ ধর্মতলা চত্বরে মেয়ো রোডে পালিত হলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠার ২৫ তম বর্ষ। এদিন এই সমাবেশের মূল থিম ছিল অ্যান্টি র্যাগিং প্রচার। আর সেই হিসেবেই রাস্তা জুড়ে ছিল হোর্ডিং, ব্যানার। এদিনের মঞ্চ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বললেন, ‘যাদবপুরে সিসিটিভি লাগাবোই’। শুধু তাই নয়, সিসিটিভি বসানোর কথা নিয়ে বামপন্থী সংগঠনগুলির উদাসীনতার কথাও উল্লেখ করলেন অভিষেক।
এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভার মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা আসলে বংশের রোগ। ওদের দাদুরা ছিল কম্পিউটারের বিরোধী। বাবারা ছিল ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী। আর ছেলেরা হয়েছে সিসিটিভি লাগানোর বিরোধী। আমি এখান থেকে বলে যাচ্ছি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি লাগাবই। কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ওখানে লাগানো হবেই। আর কোনও ছাত্রের প্রাণ আগামী দিনে এভাবে যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওখানে সিসিটিভি বসবে। ছাত্র সমাজের কাছে আমার বার্তা, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হযে লড়াই করতে হবে। সৌভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তুলতে হবে। হিংসা নয়। অন্যায়, অপরাধের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। আর র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসই অঙ্গীকার, আমরা সিসিটিভি লাগাবই। আমাদের সরকার ইতিমধ্যেই অ্যান্টি র্যাগিং হেল্প লাইন চালু করেছে। সেটা সারা বাংলায় প্রযোজ্য।’
প্রসঙ্গত , গত ৯ই আগস্ট যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং তত্ত্ব সামনে এসেছিল। আর একাধিক মহলের দাবি যাদব বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলে সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। সেই তালিকায় ছিল রাজ্যের শাসক দলও। এর আগেও তারা একাধিক বার বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পথে নেমেছে। এবার ফের শাসকদলের নিশানাতে বাম।