নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। একের পর এক রাজনৈতিক দল পথে নামছে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে। এবার ফের পথে নামল এসএফআই। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির তরফ থেকে যাদবপুর ৮ বি-তে এক বড়ো সমাবেশের ডাক দিল এসএফআই। যার নাম ‘স্বপ্নের সমাবেশ’। যদিও এই সমাবেশে জন্য পুলিশের তরফে কোনো রকম অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে অনুমতি না পেলেও সমাবেশ হবে বলে আগেই জানিয়েছিল এসএফআই।
সূত্রের খবর , এদিন যাদবপুর ৮ বি থেকে সমাবেশটি শুরু হয়। মূলত, র্যাগিং মুক্ত, বহিরাগত সমোজবিরোধী মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলার দাবিতেই এই জমায়েত। এই সমাবেশে এসএফআই এর সমর্থক ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও সিপিএমের-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিটব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, ও সৃজন ভট্টাচার্যরা ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন।
সমাবেশে উপস্থিত থেকে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এসএফআই সমাবেশের আয়োজন করেছে, তা দেখে ভয় পেয়ে অনুমতি দিলো না পুলিশ।তবে অনুমতির তোয়াক্কা না করেই এই সমাবেশ হচ্ছে। এর থেকে প্রমান হলো পুলিশের কথার কোনো মূল্য নেই।” তিনি আরো বলেন, “এই সমাবেশ বার্তা দিচ্ছে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা যাবে না। এফএফআই শেখাচ্ছে পড়াশোনা করবো তার সঙ্গে ক্যাম্পাসেও থাকবো আর ভালো ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবো।”
তার দাবি, “যাদবপুরে যা ঘটেছে একই একই কাজ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ক্যাম্পাসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেছে। এই পুলিশকে কেউ পুলিশ বলে মনে করে? ওরা ব্যালট খেয়ে ফেলা আটকাতে পারে না, দত্তপুকুর আটকাতে পারে না। এরা পুলিশ নয় দালাল।”
অন্যদিকে এসএফআইএর রাজ্য সভাপতি সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের এই সমাবেশ মূলত র্যাগিং বিরোধী। যাদবপুর কান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরা পথে নেমেছি। তবে এটি শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নয়। তাই সব জায়গায় র্যাগিং বিরোধী জনসচেতনতা প্রচার করাই আমাদের উদ্দেশ্য। অন্যদিকে ছাত্র ভোট নিয়ে সৃজন বলেন, আগে পার্থ- ব্রাত্য সবাই বলেছে, এখন মমতা বলছে। কিন্তু কোথায় ভোট? ভোট হলে তো সব পরিস্কার হবে ছাত্র সমাজ কাকে চাইছে।