নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা – স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। আগেও অনেকবার আলোচনার কেন্দ্রস্থলে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বেসরকারী হাসপাতালগুলির উপর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না নেবার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কেউ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না ফেরায়। এবার মু্খ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে রাজ্যের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বেসরকারী হাসপাতালগুলির উপর তোপ দাগলেন।
সূত্রের খবর, বুধবার নয়াবাদে নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোস ক্যান্সার হাসপাতালে পেট স্ক্যান এর উদ্ধোধন করা হয়। এখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরুপ নিগম ৷ তাদের হাত দিয়েই নতুন বিভাগের উদ্বোধন হয় এদিন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। এই টেস্ট করতে যে টাকা খরচ হবে তা সরকার দেবে বলে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে তোপ দাগলেন। বললেন, অনেক বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাচ্ছি। ফের এই ধরনের ঘটনা সামনে এলে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস৷
এরপর সিপিএমকে কটাক্ষ করে বলেন, বাম আমলে বাইপাস এলাকায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ১ টাকার বিনিময়ে জমি দেওয়া হয়েছে। আর তারাই মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে না। তিনি বলেন, “কেন বেসরকারী এই হাসপাতালগুলিতে গরীব মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন না। স্বাস্থ্যসাথী থাকলে কোনো রুগীকে ভর্তি করা হবেনা।”
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ক্যান্সার চিকিৎসাকে আরও উন্নত করতে বেসরকারী হাসপাতালগুলির পাশাপাশি সরকারী হাসপাতালেও পরিষেবা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস।
অন্যদিকে, স্বাস্থসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম জানান, রাজ্যে আড়াই কোটি পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। মোট ৮ কোটি মত মানুষ এই পরিষেবা পান ৷ যাতে সকলে পরিষেবা পান তা খতিয়ে দেখতে একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ কোথাও কোনো অভিযোগ এলে তারা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান স্বাস্থ্য সচিব।