নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা- সারাদিন কাজের চাপে ফ্যামিলির সাথে সময় কাটানো হয় না। ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গায়। কিন্তু মনে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরছে, টিকিট বুকিং নেই ঘর বুকিং নেই কিভাবে সম্ভব। এই জায়গায় যেতে অগ্রিম টিকিট বা ঘর বুকিং না থাকলেও অসুবিধা নেই। সহজেই যেতে পারেন বকখালি।
বকখালি যেতে পারেন খুব সহজেই। কলকাতা থেকে দক্ষিণে প্রায় ১২৫ কিমি দূরে। পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র তীরবর্তী টুরিস্ট প্লেসগুলির মধ্যে একটি। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলের বদ্বীপের মধ্যে একটি। প্রশ্ন আসছে কিভাবে যাবেন? প্রতিদিন এসপ্ল্যানেড থেকে নামখানার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। এসি ও নন-এসি দুই রকমই। ভাড়া ২৫০ টাকা। সেইখানে নেবে অটো বা টোটো ধরে চলে যাবেন বকখালি। এছাড়াও শিয়ালদহের সাউথ সেকশন থেকে নামখানার ট্রেন ধরতে পারেন। বকখালিতে আপনার বাজেট অনুযায়ী অনেক হোটেল এবং রিসোর্ট পেয়ে যাবেন থাকার জন্য। ভাড়া শুরু মাত্র ৫০০ টাকা থেকে।
বকখালি বিচ্ছিন্ন এবং আংশিকভাবে অনাবিষ্কৃত, তাই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি আদর্শ স্থান। সমুদ্র পাড়ে তেমন বেশি ভিড়ও দেখা যায় না। অপূর্ব সুন্দর সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত। বকখালির সমুদ্রের পাড়ে নানা দোকানে মাছ ভাজা, পাপড়ি চাট, ফুচকা, আইসক্রিম কি নেই। ঘুরে আসতে পারেন হেনরি আইল্যান্ড, বকখালি পর্যটন কেন্দ্র গুলির মধ্যে অন্যতম। এর পরিবেশ খুব মনোরম।কুমির প্রজনন কেন্দ্র, কুমির ছাড়াও অনেক গুলি হরিণ দেখতে পাবেন। ওয়াচটাওয়ার দেখতে পাবেন সমুদ্র সৈকত ও জম্বুদ্বীপে জলজ-পক্ষীর আবাসস্থল দেখতে পারেন। ফ্রেজারগঞ্জ ফিশিং হারবার দেখতে যেতে পারেন। এইখানে মাছ তোলা এবং স্টোর করা হয়।
এখন শুধু ফ্যামিলি না প্রেমিক প্রেমিকারা ঘুরে আসতে পারেন এইখানে। কিন্তু বর্ষাকালে এই জায়গা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বর্ষায় সমুদ্র পাড়ের সৌন্দর্য সুন্দর দেখতে লাগলেও অনেক পর্যটক বলছেন সমুদ্রের জলে ঢেউয়ের থেকে বেশি কাঁদা দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও বর্ষার কারণে জল বেড়ে যায় বলে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সমুদ্রের নামতে দেন না পুলিশ প্রশাসন।