নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা- আলিপুরের ধনধান্য স্টেডিয়ামে আয়োজিত হল বাংলার টেলি অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠান। বাংলা টেলিভিশনের শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের সম্মান জানাতে বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পদে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনাও করেন তিনি। আর এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই বাংলার সংস্কৃতি থেকে শুরু করে চন্দ্রযান-৩ এর বিশেষ প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর , বৃহস্পতিবার আলিপুরের ধনধান্য স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে সম্মান জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন, আর্টিস্ট ফোরামের সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় ও কার্যনির্বাহী সম্পাদক রানা মিত্র। অন্যদিকে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অন ওয়ার্কাস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন , আমরা ২০১৪ সাল থেকে প্রোগ্রামটা শুরু করেছি এবারে মোট ৪১ টি ক্যাটাগরিতে ৬৬ জনকে সম্মান জানানো হচ্ছে। এই বাংলাকে বলা হয় ক্যাপিট্যাল অফ ইন্ডিয়া। এটা কালচারাল ক্যাপিটাল। আমাদের সব ধরনের অ্যাকাডেমি আছে। আমাদের মনে রাখতে হবে সভ্যতা, সংস্কৃতি ছাড়া জাতির মেরুদন্ড খাড়া হতে পারে না। নবজাগরণ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলন সবক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গ হল মেরুদন্ড।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমাদের বাংলার টেলিভিশনের শিল্পীদের সারা ভারতবর্ষ থেকে ডাক পড়বে। তাঁরা সর্বগুণ সম্পন্ন। মুম্বইতে নিয়ে যাওয়া হয় আমাদের শিল্পীদের।” সর্বোপরি বাংলা টেলিভিশন একদিন বিশ্বজয় করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে , চন্দ্রযান-৩ সফল অবতরণের পিছনে বাঙালিদের অবদানের কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ইসরোর সব বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিবিদদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। ওই টিমে আমাদের বাংলার ১২ জন ছিলেন। জলপাইগুড়ির স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করা একজন ছিলেন। এমনকী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন প্রফেসরও আউটস্ট্যান্ডিং কাজ করেছেন। আমরা প্রত্যেকে গর্বিত তাদের জন্য। তাদের এই কাজের জন্য।’