নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – রবিবার দত্তপুকুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণের ঘটনায় স্তব্ধ রাজ্যবাসী। বিস্ফোরনের পর কোথাও কারোর কাটা মুন্ডু উড়ে পড়েছে আবার কোথাও কাটা হাত। আবার কোথাও পড়ে রয়েছে পায়ের এক টুকরো অংশ। ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু রাজ্যবাসীকে এমন দিন দেখতে হবে কেন? কেন তারা শান্তির জীবন যাপন করতে পারবে না। প্রশ্ন উঠছে। আর এই প্রশ্ন নিয়ে এবার এই ঘটনায় নিজের বাড়িতেই ডিজিকে তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর , রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে জরুরি তলব করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তারা মুখ্যমন্ত্রীর তলব পেয়ে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে হাজির হন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। দুজনের সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন। ঘন্টা দেড়েক পরে পুলিশের দুই কর্তাকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়। তবে কী নিয়ে এই বৈঠক তা দুপক্ষের তরফেই স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে মনে করা হচ্ছে, দত্তপুকুর কান্ডের কারন সম্পর্কে প্রাথমিক রিপোর্ট কি তা জানতেই ক্ষুব্ধ মমতা জরুরি তলব করেছেন পুলিশের দুই কর্তাকে। দ্রুত যাতে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর এমনটাই। সঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
প্রসঙ্গত , গত ২৭ মে এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন রাজ্যে কোনো জায়গায় যেন বেআইনি বাজি কারখানা না থাকে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাননা তিনি। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয় ধরপাকড়। পুলিশকে বেশ সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়। তারপর আবার এই একই ঘটনা। স্বভাবতই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? তবে কি এই সবের পিছনে রয়েছে পুলিশের গাফিলতি? নাকি অন্য কিছু?
অভিযোগ, পুলিশ সব জানা সত্ত্বেও এই কারখানা নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই এধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে মু্খ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যারা এই ঘটনায্র পিছনে রয়েছেন, তারা যেন কোনও ভাবেই পুলিশের নজর এড়িয়ে পালাতে না পারেন, সেই নির্দেশও দিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী।