নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা- পুরসভার বড়সড় উদ্যোগ। সবুজায়ন প্রকল্পে কোথায় কত গাছ রোপণ করা হয়েছে তার সমস্ত তালিকা প্রকাশ করল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার এই সমস্ত বিবরণ দিয়ে শ্বেত পত্র প্রকাশ করা হয়। তবে এবারই প্রথম এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার শ্বেতপত্র প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘কত গাছের চারা রোপনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, কোথায় কোথায় সেই কাজ চলছে, সেই সামগ্রিক রিপোর্ট এখানে রয়েছে। সেই রিপোর্টই আজ প্রকাশ করল হল।” অন্যদিকে, বেআইনি বিল্ডিং ভাঙা নিয়ে ফিরহাদ জানান, “আমরা সঠিক পরিমাণের ওয়েস্ট পাচ্ছি না। তাই এবার থেকে কোনো বাড়ি ভাঙা হলে তার ওয়েস্ট রাজারহাটের ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট জমা দিতে হবে।” নাহলে সেই বাড়ি নির্মাণ করার অনুমতি প্রদান করায় দেরি হবে বলে জানান মেয়র। তিনি আরও জানান, আমরা আশা করছি বছরের মধ্যেই এই নিয়ম কার্যকরী করা হবে বলে জানান মেয়র।
নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট বানানোর প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেব না যদি কেউ তার বিল্ডিং ভাঙা সামগ্রী তারা জমা না দেয়।” তিনি বলেন, “আইন বলে একটা জিনিস আছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে কি না সেটা দেখার কাজ কলকাতা পৌর সংস্থা। আমরা পুলিশ কে জানিয়ে দিয়েছি যে কোথায় যদি এই ধরনের রাবিশ থাকবে।”
প্রসঙ্গত , সবুজায়ন প্রকল্পে কোথায় কত গাছ বসেছে এমনকি বিভিন্ন দুর্যোগে কত পরিমাণে গাছ ভেঙে পড়েছে, এই ক্ষতি সামলাতে কোথায় গাছ রোপণ করা হয়েছে এই তথ্য জানতে চেয়ে এক আইনজীবী আরটিআই করেন। তবে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয় এই তথ্য তারা সরবরাহ করতে পারবেন না কারন এই রকম কোনো তথ্য নেই। এরপর স্বভাবতই সমালোচনার ঝড় ওঠে। আর সেই সামলাতেই গত কয়েকমাসের সবুজায়ন প্রকল্পের সমস্ত বিবরণ চেয়ে শ্বেত পত্র প্রকাশ করল কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
অন্যদিকে , এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কেইআইপি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফিরহাদ। সেই সময়কার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সময়কার চুক্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বললেন, “কেইআইপি-র কাজে মোটেও আমি খুশি নই। তাদের কাজের সিস্টেম অত্যন্ত খারাপ। চুক্তিটা তো আমার সময় হয়নি। শহরজুড়ে কেইআইপি-র যে কাজ হচ্ছে তাতে কন্ট্রাক্টর সংস্থার নিজেদেরই।”
রাজ্যপালের কাজের প্রক্রিয়ার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পক্ষপাতিত্ব করা রাজ্যপাল কাজ নয়। যেহেতু আগের রাজ্যপাল কে দেখা হয়েছে যে রাজ্যপাল হয়ে উপ রাষ্ট্রপতি হাওয়া যায়। সেই পথে সমস্ত রাজ্যপাল সেটা অনুকরণ করছে।” তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আছে তারা কাজ করবেন কি করবেন না। পরিযায়ী পরিযায়ী বলা যায় না। তারা কাজ করতে চায়। তাই তাদেরকে সারা দেশে ডেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
সঙ্গে তিনি এও বলেন , জহারি বাজার সেখানে তাদের কে ডাকা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিক আজকের নতুন নয়। ৪০ বছর ধরে তারা অন্য রাজ্য কাজ করছে। আমাদের বাঙালি মাছ খায় বলে আমাদের ছেলের আই কিউ বেশি। তাই তাদের কে বেঙ্গলারুতে কাজ পাচ্ছে। অনেক গুজরাটি আছে যারা এখনো কাজ করছে। তাহলে কি তারা গুজরাটিদের কাজ দিচ্ছে পারছে না বলে কি তারা এখানে বাংলায় কাজ করছে।”
অন্যদিকে সুজিত ইস্যু নিয়ে ফিরহাদ বলেন, সুজিতের বিরুদ্ধে এখনও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সুজিত এটা নিয়ে কোনো নোটিশ পায়নি বলে আমাকে জানিয়েছে।