নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি – এবার মমতাকে চিঠি লিখলেন তেলেঙ্গানার মু্খ্যমন্ত্রী কেসিআর কন্যা কে. কবিতা। মহিলা সংরক্ষণ বিলের সমর্থন চেয়েই এই চিঠি। মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বলেই খবর।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সামনের লোকসভা অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করা হতে পারে। আর বিলে যাতে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন জানায়, এই বিষয় নিয়ে আবেদন করা হয়েছে ওই চিঠিতে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, লোকসভা বা বিধানসভা যে কোনো ক্ষেত্রে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেয় তৃণমূল। তাই সংরক্ষণের বিষয়েও তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট। তবে এই বিলের বিষয়ে তাদের কি মত সেটা এখনো স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
ইন্ডিয়া জোটের বাকি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকেই নয় কেসিআর কন্যার তরফে ইন্ডিয়া জোটের বাকি দলের কাছে সমর্থন চেয়েও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভায় এবং রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের জন্য ১৯৯৬ সালে বিল আনা হয়েছিল। তবে সেই বিতর্কের সৃষ্টি কিছু রাজনৈতিক দল। এরপর ফের ২০১০ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার বিলটি ফের পাশ করানোর চেষ্টা করে। তবে রাজ্যসভায় করা গেলেও লোকসভা করা যায়নি। কারন উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি, লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও আরো কয়েকটি দল বিলের কিছু অংশে আপত্তি জানায়। তবে বরাবরই এই বিল নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি সহমত ছিল। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও বিশেষ আগ্রহ দেখান এই পাশ নিয়ে। আবার বাম দলগুলিও চেয়েছে এই বিল পাশ করাতে।
তবে আদৌ কি এই বিল পাশ হবে? এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারন বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইন্ডিয়া জোটের অংশ আরজেডি, এসপি, জেডিইউ চলতি বিলটি মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ৩৩ শতাংশ আসনের মধ্যেই জনজাতি, দলিত, ওবিসি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সব মিলিয়ে এখন দেখার এই বিল পাশ আদৌ হয় কিনা। আর হলেও ইন্ডিয়া জোটের অবস্থান কি হয়।