নিজস্ব প্রতিনিধি , জলপাইগুড়ি – রাত পেরোলেই আগামীকাল ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। ৮ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গবার সকাল ৭ টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ পর্ব। চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। ২৬০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। তার সঙ্গে ব্যবস্থা থাকবে পুলিশের নিরাপত্তার।
ধূপগুড়িতে গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জিতেছিল বিজেপি। ২০২১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মিতালি রায়। তার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে জেতেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। কিন্তু গত ২৫ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বিষ্ণুপদবাবু। এরপরই ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনটিতে বিধায়ক পদ শূন্য হয়ে যায়। আর সেই কারণেই মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন।
ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ২৬০ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। ধূপগুড়ি পুরসভা, বানারহাট এবং ধূপগুড়ি ব্লক মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা- ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন, ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯০ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা- ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩২৪ জন। তাছাড়া ৩ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন। ২৭টি কুইক রেসপন্স টিম রয়েছে। মোট ভোট কর্মীর সংখ্যা-১২০০ জন।
জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস কে ডি সি আর সি করা হয়েছে। এখান থেকেই ভোটকর্মীরা ই ভি এম নিয়ে ভোটগ্রহন কেন্দ্রে রওনা দেবেন। আর ক্যাম্পাসের পাশেই রয়েছে নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন। এখানে স্ট্রং রুম করা হয়েছে। ই ভি এম এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। এই ভবনেই ভোট গণনা করা হবে। আর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভেতরেই ফাঁকা মাঠে ভোট কর্মীদের বুথে পৌছানোর জন্য যানবাহন রাখার পার্কিং জোন করা হয়েছে।
এছাড়াও ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য এবারের এই উপনির্বাচনে মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ১৫০টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। আর অতিস্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৩৭টি। যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এক বা দুটি বুথ রয়েছে, সেখানে ৮জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আর যে সব ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে তিন বা চারটি বুথ রয়েছে, সেখানে ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, ‘‘সোমবার বিকেলের মধ্যে বিভিন্ন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন ভোট কর্মীরা। যে সমস্ত এলাকায় হাতির করিডর রয়েছে সেখানে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে বন কর্মীরা ভোট কর্মীদের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে দেবেন।’’