নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব মেদিনীপুর – ফের বেআইনি হোটেল উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দীঘায়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দীঘার সমুদ্র সৈকতে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বেআইনি হোটেল ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। পূর্বে ব্যর্থ হলেও এইবার নতুন করে শুরু হয়েছে বেআইনী হোটেল ভাঙার কাজ।
সূত্রের খবর , হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দীঘার সমুদ্র সৈকতের ধারে কিছু হোটেল ভাঙার উদ্দেশ্যে যায় পুলিশ।কাজ শুরু করতেই স্থানীয়রা এসে বাধা দেয়। বচসায় জড়িয়ে পরে স্থানীয়রা। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু হয় লাঠিচার্জ। স্থানীয়দের দাবি , হোটেল তৈরির সময় পুলিশ ছিল না, ভাঙার সময় কেন পুলিশ। সব মিলিয়ে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , হাইকোর্টের নির্দেশ বৃহস্পতিবার দীঘার মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন চারটি বেআইনি হোটেল উচ্ছেদের জন্য আসেন দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক ও স্থানীয় কোস্টাল থানার পুলিশ। তবে কাজ শুরু করার আগেই একাধিক দাবি নিয়ে পথে নামে স্থানীয়রা। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পরও সমস্যা মেটেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপর হোটেলে ভাঙার কাজ শুরু করা হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এলাকায়।
এই প্রসঙ্গে কাঁথির এসডিও সৌভিক ভট্টাচার্য জানান, “ওই এলাকায় বিনা অনুমতিতে কিছু নির্মাণ হয়েছিল। ওই হোটেল মালিকদের আমরা আগেই বিষয়টা জানিয়ে সতর্ক করেছিলাম। এর আগে ৪ তারিখ একবার ভাঙার তোড়জোড় করা হয়েছিল। কিছু স্থানীয় এই কাজে বাধা দিলেও ফের আজকে হোটেল গুলি ভাঙার কাজ চলছে।”