নিজস্ব প্রতিনিধি , পশ্চিম মেদিনীপুর – গত রবিবার দত্তপুকুরের ভয়াবহ বিস্ফোরণে শোকাহত গোটা রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। আহত হয়েছে বহু। আর এই আবহেই বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য শাসকদলকে লাগাতার দোষারোপ করতে ছাড়ছে না বিরোধী দলগুলি। এবার এই তালিকায় নাম লেখালেন বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সকাল সকাল প্রাতঃভ্রমনে গিয়ে তৃণমূলের দিকে আক্রমণ শানালেন তিনি।
এদিন দত্তপুকুর কান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলীপ বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিস্ফোরণ কোন নতুন ব্যপার নয়। লোকে দীপাওয়ালিতে বোম ফাটায়। আর আমরা সারা বছর বোমা ফাটাই। তাই ব্লকে ব্লকে এমন বিস্ফোরণ হচ্ছে আশে পাশের বাড়ি ও পাড়া পুরো উড়ে যাচ্ছে। মানুষের শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতে কিছু বলবেন না।’
দিলীপের প্রশ্ন, “পুলিশ কি এখানে খায় দায় আর ঘুমোয়। ওখান থেকে দুধের গাড়িতে করে বোম সাপ্লাই হত। ট্রাংকে করে বারুদ আসতো। পুলিশ সব জানে। পুলিশকে বললে উল্টো কেস দেয়। পুলিশ টাকা নেয়, নেতারা টাকা নেয় আর দিনের পর দিন এই অবৈধ কাজ চলতে দিয়েছে। এই ধরনের বিস্ফোরণের সবার মাথা ঘুরে গেছে। সবাই ভাবছে আমার পাড়াতেও হয়তো এই ধরনের বিস্ফোরণ হবে। যত দিন যাচ্ছে তত ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হচ্ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ আছেন।”
তবে শুধু দিলীপই নন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই বৈঠক করেছেন। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি দত্তপুকুর থানার আইসি ও নীলগঞ্জ থানার ওসিকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। গতকাল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকেও পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, কেউ কেউ বেআইনি কাজ করছে আর পুলিশ চোখ বন্ধ করে দেখছে। কোনো কোনো পুলিশ কাজ করছেন না ঠিকমতো, তোলা তুলছে। আবার জরিমানাও টাকাও পকেটে পুরছে।