নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহেই এবার বড়সড় ভাবনা চিন্তার কথা জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিতে নারকটিক্স ডিটেক্টর ও অ্যালকোহল ডিটেক্টর বসানো হবে বলে জানালেন তিনি। মূলত যাতে মাদক নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে তাও যাতে সহজে বুঝে নেওয়া যায় তার জন্যই এই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ , সূত্রের খবর এমনটাই।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “নিরাপত্তার জন্য এক্স সার্ভিসম্যানদের কথা যেমন ভাবা হয়েছে। সিসিটিভিও বসানো হচ্ছে। পরে আরও দু’টো প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছি। অ্যালকোহল ডিটেক্ট করবে বা নার্কোটিক্স ডিটেক্ট করার জন্য যদি কিছু ব্যবস্থা থেকে থাকে। তবে সেটাও আমাদের দেশের আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল করেন যারা তাদের থেকে সাজেশন নিতে হবে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কী কী নির্ণয় করা যায় সেটাও দেখার বিষয়। সবই ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে এখন।”
পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে উপাচার্য বলেন, নিরাপত্তায় একটা গাফিলতি তো ছিল। না হলে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। সরকারও নিশ্চয়ই চাইছে ইউজিসির সমস্ত নিয়ম যেন মেনে চলা হয়। তিনি এও বলেন, দুদিনের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করছি।
এছাড়াও জানা গেছে , অ্যালকোহল ডিটেক্টর ও নার্কোটিক্স ডিটেক্টর ছাড়াও ক্যাম্পাসের মধ্যে যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় অথবা কোনো ধরনের র্যাগিংয়ের ঘটনা না ঘটে তার জন্য অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াডের সদস্যের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০-৪০ জন করা হবে। অন্যদিকে, সিসিটিভির জন্য ইতিমধ্যেই একটি বেসরকারি সংস্থাকে এর বরাত দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে ২৬টি ক্যামেরা বসানো হবে।
প্রসঙ্গত , গত ৯ ই আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলের ব্যালকনি থেকে পড়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১৩ জনকে। ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে। এই ঘটনার পরেই রাজ্যের শাসক দল সহ বিভিন্ন মহলে যাদবপুরে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেই বহু চর্চিত সিসিটিভি ক্যামেরা বসতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।