নিজস্ব প্রতিনিধি, কোলকাতা – শহরের নানা জায়গায় ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির কাজ চলছে। তাতে রাস্তা খুঁড়তে হচ্ছে। এমন চিত্র কিন্তু আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। এই বর্ষাকালেই দেখা যায় রাস্তা সারাইয়ের কাজ। যার ফলস্বরূপ বর্ষাকালে রাস্তার এদিকে-ওদিকে গর্ত, ডোবা হয়ে থাকা। এমন গর্ত বর্ষাকালে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই খোঁড়াখুঁড়ি ও এই জল জমার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল আমজনতা। কিন্তু খামতিটা কোথায়? সেই খামতি খুঁজতেই কেইআইআইপি’র সঙ্গে রিভিউ বৈঠক সারলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিন বৈঠকে এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। একই সাথে সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার আশ্বাসও দেন মেয়র। এর সাথেই রেলের জমি জটের সমস্যা রয়েছে বলে স্বীকার করে নেন পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে প্রকল্পের সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। তার পাল্টা অভিযোগ, “অনেক জায়গায় একটা প্রকল্পকে দুবার করে দেখানো হয়েছে। তবে এই সংখ্যা যা বলা হচ্ছে তার থেকে অনেক কম” বলে দাবি করলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয় এদিন রাজ্যপাল ইস্যু নিয়েও কথা বলতে দেখা যায় মেয়রকে। রাজ্যপালের ‘মধ্যরাতের হুঁশিয়ারি’ নিয়ে এদিন তিনি বলেন, “এই সম্পূর্ণ বিষয়টি আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দেখছেন। সেক্ষেত্রে আমার কিছু না বলাই ভালো। তবে একটাই কথা বলব, এই বয়সে এতো রাত জাগা কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হবে?”
একই সাথে এদিন ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে মোদিকে একহাত নেন ফিরহাদ হাকিম। কেননা এদিন জি-২০ বৈঠকেও দেখা যায় নেম প্লেটে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ লেখা রয়েছে। তাতেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ইন্ডিয়া জোটকে এতো ভয় পাচ্ছেন মোদি। আমরা একটা জোট করলাম কি করলাম না, তিনি এতোটা ভয় পেয়ে গেলেন যে ইন্ডিয়া নাম সরাতে কোনও কসুর করছেন না। আর আজ বিশ্বের দরবারেও সেটাকে বজায় রাখলেন। প্রচন্ড হাস্যকর বিষয়। এখন আজ যদি আমরা ইন্ডিয়া নাম না রেখে মোদি কিংবা হাকিম দিয়ে কিছু রাখতাম তাহলে কি উনি নিজের পদবীও পালটে নিতেন। নাকি আমি আমার পদবী পালটে নেব? আসলে মোদি নিজেও জানেন ২০২৪-এ উনি আর ফিরবেন না। তাই এতো ভয়”।
এদিন এই ভাবেই ‘ভারত’ নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন কলকাতার মেয়র।