নিজস্ব প্রতিনিধি , জলপাইগুড়ি – গত ২২ আগস্ট মাটিগাড়ায় নাবালিকাকে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগে ওঠে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে সে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাহাড়ে। একাধিক দল দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে। হচ্ছে পাহাড় জুড়ে বনধ্। আর তার মাঝেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। শুধু তাই নয় , এই ঘটনার পর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার উপর ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা।
তৃণমূলের দাবি , বিজেপি শাসিত অঞ্চল বলেই এই ধরনের ঘটনা। তুলনা টেনেছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের সঙ্গে। তৃণমূলের বক্তব্য, যেখানে নিজের এলাকা সামলাতেই পারছেনা বিজেপি। সেখানে রাজ্য চালাবে কি করে। বিজেপি মানেই সেখানে অন্যায় অত্যাচার। এমনকি তারা বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তাকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ করেছেন তারা। তবে থেমে নেই বিজেপিও। বিজেপির দাবি , পুলিশের কোনো শাসন নেই, তারা মমতার দাস। মমতা সরকার যতদিন থাকবে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে।
তবে বিজেপি পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করলেও এই ঘটনায় মাটিগাড়া থানা পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে। ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের নাম মহম্মদ আব্বাস। এই মহম্মদ আব্বাস মাটিগারার লেনিন কলোনির বাসিন্দা। তাকে ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত , শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকায় গত সোমবার রাতে স্কুলের পোশাক পরা অবস্থায় এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মূলত বাড়ি পৌঁছে দেবার নাম করে অভিযুক্ত রাস্তা পাশে একটি জঙ্গলের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপরই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। নাবালিকা বাধা দেওয়ায় রাগের মাথায় ঘরে পড়ে থাকা ইট দিয়ে নাবালিকার মাথা থেঁতলে দেয় অভিযুক্ত। এরপর ৬ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ধরা পড়ে অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাস।