নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা- ইতিমধ্যেই বঙ্গে বর্ষার খেলা চলছে। আর বর্ষা মানেই যেখানে সেখানে জল জমা। আর এই জমা জলেই হয়ে ওঠে মশাদের প্রজনন ক্ষেত্র। তাই ঘর বাড়িতে মশার পরিমাণও বেড়েই যায়। এর জন্য অনেকেই মশার কয়েল কিংবা স্প্রে ব্যবহার করেন। তবে অনেকেই এমন আছেন যাদের আবার এইসব সহ্য হয়না। ঘরোয়া উপায়েই তাদের মশা তাড়ানোর চিন্তা করতে হয়। আপনিও কি তাদের দলে? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। জেনে নিন কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে মশা তাড়াবেন-
নিম- ঘরোয়া উপায়ে মশা তাড়ানোর অব্যর্থ উপায় হল নিম। মশা তাড়ানোর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে এই নিমের মধ্যে। তার জন্য কয়েকটি নিমের পাতায় আগুন ধরিয়ে সেই ধোঁয়া ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে দিন। এতে মশা অনেকটাই কমে যাবে। আবার নিমের তেল ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। তাই একসঙ্গে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। এতে আপনার যদি ত্বকের সমস্যা থাকে তাও মিটবে আবার মশাও আপনার ধারে কাছে আসবে না।
লেবু ও লবঙ্গ – টক দ্রব্য ও লবঙ্গের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। তাই মশা দূর করার একটি পুরোনো উপায় হল লবঙ্গ ও লেবু ব্যবহার। লেবু দুই টুকরো কেটে, তাতে কয়েকটি লবঙ্গ গুঁজে দিন। এরপর বাড়ির বিভিন্ন স্থানে এগুলো রেখে দিন। এতে মশা দূরে থাকবে।
কর্পূর- কর্পূর আমাদের সবার বাড়িতেই কম বেশি থাকে। আর মশা তাড়াতে এর ব্যবহার খুব জনপ্রিয়। কর্পূর জ্বালিয়ে রাখলে মশা দূর করা সহজ হবে। এর গন্ধও মশা সহ্য করতে পারে না। আর এতে আপনার শরীরের কোনও ক্ষতিও হবে না। ফলে লাঠিও ভাঙল না আর সাপও মরল। তবে কর্পূর জ্বালানো ছাড়াও জলের মধ্যে ভিজিয়েও রাখতে পারেন। তাতেও কাজ হবে।
পুদিনাপাতা- ছোট গ্লাসে একটু জল নিয়ে তাতে পাঁচ থেকে ছয় পুদিনাপাতার ডাল রেখে দিন খাবার টেবিলে। তিন দিন অন্তর জল বদলে দেবেন। শুধু মশাই নয়, পুদিনার গন্ধে অনেক ধরনের পোকামাকড় ঘরে আসে না। আবার পুদিনাপাতা ছেঁচে নিয়ে জলে ফুটিয়ে নিন। এই জল গোটা ঘরে স্প্রে করে দিন। মশা দুর হয়ে যাবে ঘর থেকে।
চা পাতা- আমরা কমবেশি সকলেই চা খেতে পছন্দ করি। সেই চা পাতাই মশা তাড়াতে কাজে লাগবে। ব্যবহৃত চা পাতা রোদে শুকিয়ে নিন। ধুনোর মতো ব্যবহার করে মশা তাড়ান। শুধু মশা নয় মাছিও পালিয়ে যাবে।