নিজস্ব প্রতিনিধি , বেঙ্গালুরু – চন্দ্রবিজয় আগেই হয়েছে। এবার পরমবিক্রমী সূর্যের (sun) পালা। সেই উপলক্ষ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র (Satish Dhawan Space Centre) থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ (PSLV-C57) রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিলো ইসরোর আদিত্য এল১। আজ ঠিক বেলা ১১.৫০ মিনিটে সূর্য অভিযানের জন্য পাড়ি দিলো আদিত্য-এল১ (ADITYA-L1) । এই প্রথমবার সূর্য নিয়ে অভিযানের উদ্যেশ্যে পাড়ি জমালো ইসরো। ইসরোর দফতরে ১ ঘন্টা আগে থেকেই শুরু হয়েছিল শেষ মুহূর্তের কাউন্টডাউন। অবশেষে হলো আদিত্যর সফল উৎক্ষেপণ।
ইসরোর (isro) এই অভিযানের দিকে তাকিয়ে গোটা ভারতের সঙ্গে গোটা বিশ্বও। গতকাল এই মিশনের আগে মন্দিরে পুজো দিয়েছে ইসরোর টিম। গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যানও। আজ সকাল ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর আদিত্য এল১। মোট ৬ টি পে-লোড নিয়ে মহাকাশে যাচ্ছে আদিত্য-এল১ (ADITYA-L1)। বেঙ্গালুরুর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে তৈরি হয়েছে ইসরোর এই নয়া হাতিয়ার। এদিন আদিত্যর সফল উৎক্ষেপণের পর ফের উৎসবের মেজাজে ইসরো।
ইসরো (ISRO) সূত্রে জানা গেছে , এই সূর্য অভিযানে গেলেও সৌর জগতের একবারে কাছে যাবে না আদিত্য। পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূর থেকেই সূর্যের শেষ অক্ষে অভিযান শুরু করবে আদিত্য-এল১। সেখান থেকেই সৌর কণা এবং সৌর বায়ুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য। এছাড়াও সৌর বিস্ফোরণ নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করবে আদিত্য (ADITYA-L1)।
ইসরোর আরও দাবি , আংশিকভাবে সূর্যের আয়োনাইজড প্লাজমার পিছনে কী বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে, তা নিয়েও গবেষণা চালাবে আদিত্য। উৎক্ষেপণের পর এই আদিত্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে বেশ কয়েকবার। তারপর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে এটি সূর্যের দিকে পাড়ি দেবে। সূর্যের মূল কক্ষপথে পৌঁছতে আদিত্যর সময় লাগবে ১২৫ দিন। সব মিলিয়ে নয়া মিশন নিয়ে উত্তেজনায় ফুটেছে ইসরো।
উল্লেখ্য , আদিত্য-এল১ (ADITYA-L1) -এর পে-লোড তৈরির দায়িত্বে ছিল ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, পুণে সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজার। এছাড়া ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্স তৈরি করেছে আদিত্যর করোনাগ্রাফ।