নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – র্যাগিংয়ের জেরে যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই আবহে ক্যাম্পাসকে র্যাগিং-মুক্ত করতে তৎপর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে আলোচনা চলছে। আবার এসবের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকে র্যাগিং-মুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা খতিয়ে দেখতে ক্যাম্পাসে আসতে চলেছে ইসরোর একটি প্রতিনিধি দল। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল। এমনকি ইসরোর তরফে মিলেছে সদর্থক বার্তা। এখন দেখার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা।
সূত্রের খবর , একটি মাত্র মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনই কামাল দেখাবে ইসরো। সেখানে থাকবে প্যানিক বাটন। আর ওই অ্যাপের সঙ্গে যোগ থাকবে ইসরোর। কোনো পড়ুয়া যদি র্যাগিংয়ের শিকার হন তাহলে মোবাইল অ্যাপে থাকা বাটন ক্লিক করলেই সেই বার্তা পৌছে যাবে স্যাটালাইট মারফত ইসরোর কাছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও একটি কন্ট্রোলরুম থাকবে বলে সূত্রের খবর। তবে অ্যাপটি এখনও তৈরির ভাবনা চিন্তা পর্যায়ে রয়েছে। এই নিয়ে ইসরো তার পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। তবে শুধু ইসরোই নয় আর তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে খবর।
এই নিয়ে গত সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছিলেন, “পরের সপ্তাহে ইসরোর টিমের এখানে আসার কথা। ইসরোর টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরদারি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত দিকগুলি খতিয়ে দেখবেন এবং যদি আরও কিছু প্রযুক্তিগত সুবিধার প্রয়োজন হয়, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেবে ইসরোর টিম।”
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট যাদবপুরের মেন হোস্টেলের ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা যায় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। তদন্তে উঠে এসেছে র্যাগিং তত্ত্ব। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তনীসহ মোট ১৩ জনকে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে। এমনকি উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর যাতে র্যাগিং-মুক্ত হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছেন রাজ্যপাল। এই আবহেই এবার ইসরোর প্রতিনিধি দল আসা অন্য মাত্রা দান করতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।