নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি – এই সংস্কৃতির ঐতিহ্য খেলাধুলার ইতিহাস হাজার বছরের প্রাচীন ও পুরনো।
আগেকার দিনে গ্রামাঞ্চলে হা-ডু-ডু, কাবাডি, লাঠিখেলা, দধি কাঁদো খেলার জন্য রীতিমত প্রতিযোগিতা চলত। বিভিন্ন গ্রামে এসব খেলার জমজমাট আয়োজন হত। বিশেষ করে হিন্দু বাড়ির উঠোনে জন্মাষ্টমীর দিনে বা পরের দিন গদি কাদা বা দধি কাদো খেলা দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দলে দলে এসে উপস্থিত হত। তবে খেলার চেয়ে কাদা মাখামাখি হত উৎসাহজনকভাবে খেলোয়াড়দের সারা শরীরে কাদা তো লাগতই, এমনকি মুখেও থাকত।
কাদামাটিতে একাকার হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে দর্শনার্থীরা যারপরনাই আনন্দ উপভোগ করত। এবার সেই হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্য সংস্কৃতি ঢেউ আছড়ে পড়তে দেখা গেল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপেটিয়া গ্রামের ভূমিপুত্র কৃষ্ণ দাসের পৈতৃক ভিটে বাড়িতে। শহরের আধুনিক আনন্দকে টেক্কা দিয়ে জমে ওঠে জন্মাষ্টমীর দুপুরে দাস পরিবারের উঠোনে। অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতা মূলক দধি কাদো খেলা।
এই পুরোনো ঐতিহ্য প্রসঙ্গে দাস পরিবারের নতুন প্রজন্ম প্রণেতা দাস বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য থেকে ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছি। আমাদের বাড়িতে জন্মাষ্টমীর পুজো হয় প্রতিবছর তবে এবারের গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দধি কাদা খেলা আবার নতুন করে আয়োজন করেছি একটাই উদ্দেশ্য, নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের গর্বের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা”।
অপরদিকে দাস পরিবারের বর্তমান অভিভাবক কৃষ্ণ দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “মূলত আমার মেয়ের উদ্যোগেই এই দধি কাদা খেলার আয়োজন। ও নতুন প্রজন্মের হয়েও এই সংস্কৃতিকে নিয়ে ভাবছে এটাই আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি”।
এদিন এমনভাবেই হৈ-হুল্লোড়ে, আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম।