নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – পুরো সপ্তাহ কাজ করে রবিবার আসলেই মনটা কেমন ঘুরু ঘুরু করে তাই না। তবে মনে একটাই চিন্তা আসে সোমবার সকালে আবারও কাজে যেতে হবে একদিনে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়? এখন তারও সমাধান আছে। রবিবার বিকেলের দিকে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গায়। কলকাতার বুক থেকে সামান্য দূরে এক অপূর্ব মন্দির ‘স্বামী নারায়ণ মন্দির‘।
ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের ধাঁচে তৈরি স্বামী নারায়ণ মন্দির। প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় গুজরাতে। সারা বিশ্বে ১১৫০ টি স্বামী নারায়ণ মন্দির আছে। সেই মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বামী নারায়ণের শীর্ষরা। ২০১৪ সালে দক্ষিণ কলকাতার জাতীয় সড়ক ১২( ডায়মন্ড হারবার রোড) পাশে গড়ে উঠেছে এই মন্দির। বিশ্বের পাঁচ মহাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত ৪৪ টি মন্দিরের অন্যতম এটি।
এবার মনে প্রশ্ন জাগছে তো কি করে যাওয়া যায়? হ্যাঁ হ্যাঁ সেটাও বলব ধর্মতলা বা শিয়ালদহ থেকে ডায়মন্ড হারবার গামী বাস পাবেন। আর সেই বাসই নামিয়ে দেবে আপনাকে মন্দিরের সামনে। এছাড়া আপনি আপনার ব্যাক্তিগত গাড়িতে যেতে পারেন। পার্কিংয়ের জন্য ব্যবস্থাও করা রয়েছে। এককেটা গাড়ির জন্য পার্কিং ভাড়া ৫০ টাকা কোনো সময়সীমা নেই।
এবার আসি মন্দিরের ভেতরের কিছু তথ্য নিয়ে। মন্দিরের প্রবেশ পথে মোবাইল ফোন জমা দিয়ে দিতে হবে। মন্দিরের গর্বগৃহের কোনো ছবি তোলার নিয়ম নেই। অবশ্যই আপনি বাইরে ছবি তুলতে পারেন। মন্দির খোলা থাকে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা অবদি।আবার বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা অবদি। গর্ব গৃহের ভেতরে সবাই নিজের মতো করে পুজো দিতে পারেন। প্রত্যেকদিন বিকেল ৫ টা থেকে ৬ পর্যন্ত প্রার্থনা হয়। সন্ধ্যা আরতি হয় সন্ধ্যা ৬.৩০ থেকে। র্গব গৃহের ভেতরে আছে শ্রী স্বামী নারায়ণের সোনার মূর্তি।
দুপুরে বা বিকেলে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রসাদেরও ব্যবস্থা করা আছে। প্রসাদের জায়গায় গিয়ে কুপন কেটে খাবার নিতে হয়। ১৪০ টাকা পার প্লেট নেওয়া হয়। প্রাসাদ সম্পূর্ণ নিরামিষ। ফেরার জন্য ঠিক একইভাবে ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে শিয়ালদহ বা ধর্মতলা গামী বাস পেয়ে যাবেন। কিন্তু রাত ৮ টার পর অনেকগুলি বাস কমে যায়। তাই সন্ধ্যা ৭ থেকে ৭.৩০ এর মধ্যে বাস ধরতে হবে। যদিও বা আপনি বাস মিস করেন তাতেও কোন। মন্দির প্রাঙ্গণে রাতে থাকা খাওয়ারও ব্যবস্থা। মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আপনি সেখানে রাতে থাকতেও পারবেন।