নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা- ভাদ্রের ভ্যাপসা গরম। আর এর সঙ্গে লাগাতার লোডশেডিং। সব মিলিয়ে নাজেহাল বঙ্গবাসী। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। আর সেই রেশ পড়ছে গিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে। রাগান্বিত হয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু একবিংশ শতকেও এই লোডশেডিং কেন? সামনে এলো আসল কারন। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস খোলসা করেছেন।
তিনি বলেছেন, সামনে পুজো। আর সেই সময় যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্যই কিছু রক্ষনাবেক্ষণের কাজ চলছে। ট্রান্সফর্মার পাল্টানোর কাজ চলছে। এই অনেক সময় শাটডাউন করা হয়ে থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে এই কাজ শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে। সাময়িক অসুবিধা হলেও বৃহত্তর স্বার্থেই এই কাজ।
তবে সত্যিই কি এই কারন? তথ্য বলছে অন্য কথা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ৭০০ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ দিয়েছে পিডিসিএল। ফলে দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে লোডশেডিংয়ের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে গত পনেরো বছরে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হয়নি। পুরোনো প্রকল্পতেই কাজ চালানো হচ্ছে। ফলে তার কার্যক্ষমতাও কমছে। তাই আদৌ এই সমস্যা কবে মিটবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সোমবারের মধ্যে লোডশেডিংয়ের সমস্যা না মিটলে ধর্নায় বসবেন তিনি। তাঁর দাবি, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না রাজ্য। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা কমাতে বাধ্য হয়েছে। যার ফলে ঘাটতির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট।