নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – মাস দুয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সূচনা হয় ‘সরাসরি মমতা‘র। মূলত সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই সরকারের কাছে পৌঁছে যেতে পারে তাই এই প্রচেষ্টা মু্খ্যমন্ত্রীর। আর সেই প্রচেষ্টায় এবার ব্যাপক সাড়া পড়ল। দুমাসেই ৫ লক্ষ ফোন পেল সরকার। তথ্য অনুযায়ী প্রায় প্রতিদিন ৮ হাজার করে ফোনে অভিযোগ আসতে থাকে। আর তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে মু্খ্যমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টা কতটা সফল।
সূত্রের খবর , গত ৮ জুন নবান্ন থেকে ‘সরাসরি মমতা’র কথা ঘোষণা করেন। আর এরপরেই ১২ জুন এই পরিষেবা চালু করা হয়। সাধারণ মানুষকে জানাতে শহরজুড়ে হোর্ডিং, ব্যানার পোস্টারে ভরিয়ে দেওয়া হয়। যাতে সাধারণ মানুষ রাস্তা ঘাটে বেড়িয়ে কোথাও কোথাও সমস্যায় পড়লে তা সঙ্গে সঙ্গেই সামান্য এক ফোনের মাধ্যমেই জানাতে পারে। আর সেই উদ্দেশ্য এবার সফল। গত দুমাসে রেকর্ড সংখ্যক ফোন এল মু্খ্যমন্ত্রীর দফতরে। যার সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। এই ফোনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে ভর্তির সমস্যা থেকে শুরু করে আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাতে পারেন।
প্রসঙ্গত , ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইন নম্বরেই চালু হয়েছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ পরিষেবা। ৯১৩৭০৯১৩৭০ এই নম্বরে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা অবধি মানুষ তার অভিযোগ জানাতে পারবেন। রাজ্যের জনগণ যাতে এই কর্মসূচির সুবিধা পান তার জন্য ইতিমধ্যেই জেলা ও রাজ্যস্তরে তৈরি করা হয়েছে টিম। অভিযোগ এলেই তার ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট দফতর। এমনকি অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও জানানো হবে অভিযোগকারীকে।
এই কর্মসূচির প্রসঙ্গ বারবার তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন কোনো রকম সমস্যা থাকলে তা এক ফোনেই সরাসরি মমতাতে জানাতে। এমনকি গত সপ্তাহে বিশ্ব বাংলার অনুষ্ঠানেও মু্খ্যমন্ত্রী পুলিশের ‘ঘুষ’ তোলা নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা জানাতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘সবাই অবৈধভাবে টাকা তোলে না। এমন কাজ করে ১ শতাংশ। আর বদনাম হয় সবার। টাকা নিতে কে বলেছে? যদি দেখেন কেউ টাকা নিচ্ছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে অভিযোগ করবেন।’