নিজস্ব প্রতিনিধি , দিল্লি – গত ৩ মে থেকে কুকি-মেইতেই জনগোষ্ঠীর দাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে হিংসার ঘটনা। অগ্নিগর্ভ মণিপুরের হিংসাত্মক ঘটনাগুলোর তদন্ত ভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এবার এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি হবে গুয়াহাটি হাইকোর্টে। শুক্রবার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে এই মামলা সব রায় দেবেন গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, গুয়াহাটি হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি মণিপুর হিংসার মামলার শুনানি করবেন। এমনকি অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া, হিংসায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সাক্ষীদের শুনানি হবে গুয়াহাটি হাইকোর্টেই। তবে সব সময় সশরীরে নয়, ভার্চুয়াল ভাবে শুনানি হবে।
সূত্রের খবর, মণিপুর হিংসায় এখনো পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িও আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। তারা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত , গত মে মাস থেকে মণিপুরে থেকে জাতি দাঙ্গায় জ্বলছে একেরপর এক এলাকা। এখানেই শেষ নয়। এরপর কংপোকপিতে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট কড়া বার্তা জানিয়েছিল। এরপর এরপর ৮ অগস্ট মণিপুরে হিংসা ও হিংসার ফলে ঘরছাড়া ও ক্ষতিগ্রস্থ ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উপর নজরদারি চালাতে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটি গঠিত হয় হাইকোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত মহিলা বিচারপতিদের নিয়ে।
অন্যদিকে, মণিপুরের বর্তমান অবস্থার কথা জানতে চেয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ও বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীকে তলব করেছেন। ইতিমধ্যেই তারা দিল্লীতে পৌঁছে গেছেন বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার শাহের বাসভবনে হবে ওই বৈঠক।