নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি – কনফিডেন্ট ভাল, কিন্তু ওভার কনফিডেন্ট অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে। অন্তত সম্মান হারানোর একটা সুযোগ থেকেই যায়। এখন মিতালি রায় বোধহয় এমনটাই ভাবছেন। কেননা এদিন দুপুরের দিকে তিনি যা বলেছিলেন, তা বাস্তবিকে একেবারে পালটে গেছে। ধূপগুড়িতে হার হয়েছে বিজেপির। মুখ রক্ষা হয়নি সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা মিতালি সাহার।
এদিন যখন পঞ্চম রাউন্ডের গণনা শেষ হয়, তখন তিনি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে ছিলেন, “শেষ হাসি আমরাই হাসব, বিজেপি হাসবে, মোদিজি হাসবেন, পদ্মফুলও হাসবে। একটা চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। যেহেতু এটা উপনির্বাচন, মানুষ সিদ্ধান্ত নেয়, যেহেতু এটাতে কিছু হবে না, তো গভমেন্টের পক্ষে যায়! সেখানে বিজেপির যে চ্যালেঞ্জটা রয়েছে, সেটাই তো বড় কথা”। তবে এনিয়ে কোনও টেনশন করছেন না বলেই এদিন জানিয়েছিলেন তিনি।
আর তার কিছু ঘন্টা পরেই বদলে যায় চিত্র। জয়ের হাসি দেখা যায় তৃণমূলের মুখে। অবশ্য এরপর আর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি মিতালি রায়ের।
দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, অনেকেই নাকি গুন গুন করতে শুরু করেছেন এই বলে, যে এই হারের জন্যে খানিকাংশে মিতালি রায় নিজেও দায়ী। ভোটের ৪৮ ঘন্টা আগে তাঁর ওই রকম দলবদল হজম করতে পারছেন না দলের নীচুতলার অনেক কর্মীই। যার প্রভাবই বোধহয় পড়ে ভোট বাক্সে। তবে কারণ যাই থাকুক না কেন, মিতালি রায়ের আত্মবিশ্বাস যে কাজে এল না, তা বলাই যায়।