23 C
New York
Monday, July 7, 2025
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
More

    এই মুহূর্তে

    জাতীয় শিক্ষকের সম্মান পাচ্ছেন চন্দন মিশ্র , আনন্দে উচ্ছ্বসিত গোটা স্কুল

    নিজস্ব প্রতিনিধি , হাওড়া – শিক্ষকতার জাতীয় সম্মান পেতে চলেছেন হাওড়ার নিশ্চিন্দার প্রধান শিক্ষক চন্দন মিশ্র। এবছরে জাতীয় শিক্ষক সম্মান প্রাপক হিসাবে দেশের ৫০ জন শিক্ষকের নাম মনোনীত হয়েছে। সেই তালিকায় আছেন চন্দনবাবুও। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি ভবনে এই সম্মান প্রদান করা হবে তাকে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে জাতীয় পুরস্কার নেবেন চন্দনবাবু। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া বইছে নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর একাডেমিতে। ইতিমধ্যেই গোটা স্কুল শুভেচ্ছা জানিয়েছে তাকে।

    সূত্রের খবর , গত ২২ বছর ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হাওড়ার নিশ্চিন্দার প্রধান শিক্ষক চন্দন মিশ্র। ‘শিক্ষকতা’ বিষয়ে বি.এডবড় এবং পিএইচডি করেছেন ডঃ চন্দন মিশ্র। তিনি বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হাইস্কুল থেকে উর্তীর্ণ হয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে স্নাতকস্তর অতিক্রম করেন। এরপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যলয়, ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার স্তর উর্তীর্ণ করেন। শিক্ষকতার প্রথম ৪ বছর কলকাতার খিদিরপুর অ্যাকাডেমিতে অতিবাহিত করেন। এরপর চলে যান হাওড়ার বাগনান কুলগাছিয়া কামিনা হাইস্কুলে। টানা ১০ বছর সেখানকার শিক্ষক ছিলেন চন্দনবাবু। এরপর নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমিতে শিক্ষকতা শুরু।

    জানা গেছে , এরআগে ২০২২ সালে রাজ্য সরকারের তরফেও সম্মানিত করা হয়েছিল তাঁকে। গত বছর রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয় চন্দন মিশ্রকে। এক বছর পর এবার জাতীয় সম্মান। এই চিঠি আসার পর থেকেই খুশির হাওয়া মিশ্র পরিবার। এমনকি এই খুশিতে সামিল হয়েছে নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমিও। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের জাতীয় স্তরে সম্মান প্রাপ্তি নিয়ে যে গর্ববোধ হবে তা বলাই বাহুল্য।

    এই বিষয়ে চন্দনবাবু জানান,”আমি অন্যান্য শিক্ষকদের মতোই একজন মানুষ গড়ার কারিগর। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরো উন্নত করার যে স্বপ্ন আমি দেখি এই সম্মান আমাকে আগামী দিনে সেই কাজে আরও উৎসাহ দেবে।”

    এই বিষয়ে স্কুলের অন্য এক শিক্ষক দীপ্ত নস্কর জানান, “উনি এই স্কুলে আসার পর থেকে স্কুলকে এক অনন্য মাত্রা দিয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের ও অশিক্ষক কর্মচারীদের একত্রিত করে তিনি তার পান্ডিত্য ও মানবীয় চেতনার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার এই সন্মান শুধু তার একার নয় এটা এই এলাকার সকলের সন্মান।”

    স্কুলের ইংরেজির সহ শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র দাস বলেন, “এই সম্মানে তারা খুশি যদিও এই সন্মান উনি পাচ্ছেন, এতে তাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। সমাজের প্রতি যে দায়বদ্ধতা রয়েছে সেই সর্বোচ্চ সীমাকে লঙ্ঘন করে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা চালাতে হবে।”

    এই মুহূর্তে

    spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

    এড়িয়ে যাবেন না

    spot_imgspot_imgspot_imgspot_img