নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – ‘ভদ্র’ পোশাক পরার পরোয়ানা জারি। এই বিষয়ে এবার বিতর্ক শুরু হল কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ নিয়ে। শুধু পরোয়ানা জারি করেই ক্ষান্ত থাকল না এই কলেজে। পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা লেখানো হলো ছেঁড়া জিন্স বা অশালীন পোশাক না পরার। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। তবে কোনো মূল্যেই নিজেদের শর্ত থেকে সরতে নারাজ কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পড়ুয়াদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। তবে কলেজে এই ধরনের ফতোয়া নজিরবিহীন। কারণ কলেজে ভর্তি হওয়া মানেই সে ১৮ উর্ধ্ব ধরে নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের পছন্দমতো পোশাক পরার অধিকার থাকে। এবার সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠল আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ছেঁড়া জিন্স পরে কলেজে আসা যাবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর ভর্তির সময় সেই মর্মেই মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের কাছ থেকে। সই করতে হচ্ছে অভিভাবকদেরও। এই নির্দেশিকা জারি করেছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ ড: পূর্ণচন্দ্র মাইতি।
তবে বিতর্ক সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষর বক্তব্য, “গত বছর নোটিশ দেওয়ার পরও দেখা গিয়েছিল দু-একজন ছেঁড়া জিন্স পরে চলে আসছে কলেজে। কোনওভাবেই এটাকে মেনে নেওয়া হবে না। তাই আরও কড়া অবস্থান নিতে, ভর্তি হওয়ার সময়ই হলফনামা ফর্মে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পড়ুয়ার অভিভাবককেও সই করতে হবে।ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হলেও সিদ্ধান্ত বদলের প্রশ্ন নেই। যে যা খুশি পরতে পারবে, তা কলেজের বাইরে। কিন্তু কলেজে ঢুকলে নিয়ম-শৃঙ্খলা, শালীনতা মেনে চলতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, বিশৃঙ্খলা মানেই সেখানে ব়্যাগিংয়ের প্রসঙ্গ আসতে পারে। তাই আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ এই ধরনের ঘটনায় যুক্ত থাকলে, বের করে দেওয়া হবে, ফেরত দেওয়া হবে না টাকাও।